২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে : জিএম কাদের

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে পূর্বের বৈচিত্র হারিয়েছে আওয়ামী লীগ, তারা এখন পরগাছায় পরিণত হয়েছে, সেকারণে তারা কাউকে পাত্তা দেয় না, কাউকে হিসাবেও রাখছে না। ফলে দেশ ও জনগণ মহা সঙ্কটে বিরাজ করছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।

এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জেলা আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্য সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনদিনের রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে উঠেন। সেখান থেকে তিনি তার পৈত্রিকি নিবাস নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভবনে যান।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপাকালে জিএম কাদের বলেন,‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈচিত্র হারিয়েছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে দেখতে পাই না। দল হিসেবে এখন তারা কিছু পেশাজীবি, সরকারি চাকরিজীবির সংঘবদ্ধ বলয় তৈরি হয়েছে।‘

জিএম কাদের বলেন,‘আগে আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট ছিল তারা জনগণকে ধারণ করতো। এখন তারা জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। আগে তারা একটা বড় গাছের মতো ছিল। যেখানে সবাই বিশ্রাম নিতে পারতো। এখন সেটা হয়ে গেছে পরগাছা।‘

জিএম কাদের বলেন,‘এখন অন্ধ আনুগত্যের কিছু সংঘবদ্ধ গোষ্ঠিতে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সেকারণে হাস্যকর বিভিন্ন কাহিনী করে যাচ্ছে। সেকারণে তারা পাত্তাও দিচ্ছে না কাউকে। এই দুনিয়াতে তাদের বাইরে আর কোনো মানুষ আছে সেটা তারা হিসাব করে না। অত্যন্ত কঠিনভাবে তারা নিয়মবহির্ভূত কাজ করছে। আমার ধারণা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একটা কাল্টে রুপান্তরিত হয়েছে। এবং তারা সেই বিহেভিয়ার করছেন। তারা দেশ এবং দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব কারণে বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন তারা দিচ্ছে না।’

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইন করলেও রাইট টু ইনফরমেশন বলতে এখন কোনো কিছু নেই। কোন খবরা-খবর দেয়া হচ্ছে না। সব গোপন রাখা হচ্ছে। যে তথ্যই চাওয়া হয়, সেটাই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্বার জন্য হুমকি স্বরুপ। সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারায় বলা হয়েছে, আমরা বিদেশের সাথে যে চুক্তিই করি না কেন। সেটা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত যত বিদেশী চুক্তি হয়েছে হাজার হাজার চুক্তি হয়েছে। কোনো চুক্তিই আমাদের সংসদে প্লেস করা হচ্ছে না। সংবিধান মানা হচ্ছে না।

জিএম কাদের বলেন, ওনারা (আওয়ামী লীগ) অনেক খাতে লুটপাট করেছেন। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট হয়েছে, জ্বালানী খাতে লুটপাট হয়েছে। প্রচুরভাবে টাকা পাচার হয়েছে এবং পাচার করতে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের রেগুলেটরি বডিগুলো আছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং শাখা এরা যেসব নিয়ম করছেন তা করা হয়েছে এসব দুর্নীতিকে সহায়তা করার জন্য। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ উদ্ধার চায়।

আগামী দুই দিন তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাবেশ ও নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement