ওসির কক্ষে ঢুকতে লাগে না অনুমতি, ডাকতে হয় না স্যার
- বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
- ০২ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১৯
প্রথাগতভাবে থানায় ওসির কক্ষে ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ মানুষের। কিন্তু ব্যতিক্রম দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান। তার অফিস কক্ষে ঢুকতে লাগে না অনুমতি এমকি তাকে স্যার বলে ডাকারও প্রয়োজন নেই। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে সাধারণ মানুষের সেবায় জনগণের কাছে তিনি নিজেই এগিয়ে যান। সরাসরি অভিযোগ শুনে থাকেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনি সহায়তা দেন। ইতোমধ্যে তিনি জনগণের কাছে তার এমন আচরণের জন্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
বিরামপুর থানায় সরজমিনে দেখা যায়, ওসি মনিরুজ্জামানের রুমের দরজায় বোর্ডে লেখা ‘এটা একজন গণ কর্মচারীর অফিস কক্ষ। যে কোনো প্রয়োজনে অফিস কক্ষে ঢুকতে অনুমতির প্রয়োজন নাই, সরাসরি রুমে ঢুকুন। ওসিকে স্যার বলার প্রয়োজন নেই।’
জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বিরামপুর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন তার নানা কর্মকাণ্ড দিয়ে। ওই উদ্যোগের কারণে ইতোমধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন।
বিরামপুরের বাসিন্দা বিদুৎ হোসেন বলেন, থানায় এসে দেখলাম ওসির রুমের সামনে ঝুলানো ব্যানারে লেখা, তার রুমে ঢুকতে কোনো অনুমতি লাগবে না। তাকে স্যারও ডাকতে হবে না। বিষয়টি অনেক ভালো লাগল। ওসি নিজেই ভাই বলে ভেতরে ডেকে নিয়ে কথা বললেন। জিডি করতে সহায়তা করলেন। এমন অফিসারই তো চাই।
ওসির সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি সব শ্রেণীর পেশার স্থানীয় জনগণ। তারা মনে করেন, এভাবে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারলে তা সবার জন্যই কল্যাণকর হবে।
উপজেলা মাদক প্রতিরোধ ও জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধু বিরামপুর থানাই নয়, দেশের প্রতিটি থানা হোক জনগণের আস্থার স্থল। পুলিশ সত্যিই পরিচিত হোক জনগণের বন্ধু হিসেবে।
ওসি মনিরুজ্জামান জানান, ’মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের আইজিপি মহোদয় চাচ্ছেন পুলিশ আরো জনবান্ধব হোক। আমি খেয়াল করেছি মানুষ ওসির রুমে ঢুকতে ইতস্তত বোধ করে, ভয় পায়। অনেক সময় অনুমতির জন্য ঘোরাফেরা করে। এতে জনগণের সঙ্গে একটা দূরত্ব থেকে যায়। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। মানুষ আমাকে তাদের একজন ভাববে এটাই আমি চাই। তাই রুমের বাইরে ওই লেখা টানিয়েছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা