চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইনে ভারতীয় রেলের ট্রায়াল
- নীলফামারী সংবাদদাতা
- ০৮ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৯
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগ শুরু করতে ভারতীয় রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। ভারতীয় রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল দেখতে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দু’পাশে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার শত শত উৎসুক মানুষের ঢল নামে। এসময় কড়া নজরদারিতে ছিল দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় হুইসেল বাজিয়ে ছুঁটে আসে ট্রায়াল রানের ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুটকে পুনরুজ্জীবিত করেছে ওই রেলপথ।
ট্রায়াল রানের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জেপি শিং, ডিপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে। ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি নোম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমানা পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ভারতীয় প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি ডিভিশনের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথটিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বান্ধব রেলপথ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ওই রুট দিয়ে ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে পারবে। ফলে নেপাল ও ভুটানের সাথে ওই পথে আমদানি রফতানি করা যাবে বলে উভয় দেশের রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
এদিকে আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ অংশের বিছানো রেললাইনে বাংলাদেশ রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান শুরু হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতার আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি দিয়ে সরাসরি কলকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা