ভূরুঙ্গামারীতে নৃশংসভাবে কিশোরকে নির্যাতন, ইউপি সদস্য গ্রেফতার
- ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২৩ জুন ২০২০, ১৫:৫২, আপডেট: ২৩ জুন ২০২০, ১৫:৫৭
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের (কচাকাটা থানা) মংলারকুটিতে চুরির সন্দেহে এক কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের সাথে জড়িত থাকায় এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
জানাগেছে কিছুদিন পূর্বে উপজেলার (কচাকাটা থানা) বলদিয়া ইউনিয়নের মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল চুরি হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার লোকজন সোলার প্যানেল চুরির অভিযোগে মাহবুবুর রহমান (১৭) নামের এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংস নির্যাতন করে। তারা মাহাবুবুরের কোমর থেকে পা পর্যন্ত বাঁশ দিয়ে ডলা দেয়।
মাহাবুবুর বলদিয়া ইউনিয়নের ছনবান্ধা গ্রামের খলিসাকুড়ি এলাকার জসীম উদ্দিনের পুত্র। তবে মাহাবুবুরের কাছ থেকে চুরির মালামাল পায়নি নির্যাতনকারীরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুরে বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাজু আহমেদ এবং স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলী মুন্সী, আয়নাল হক, আব্দুল জলিল, জাহান উদ্দিন ও আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জনের একটি দল মাহবুবুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জাফর আলী মুন্সির বাড়িতে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করাসহ নৃশংসভাবে কোমর থেকে পা পর্যন্ত বাঁশচাপা/বাঁশ ডলা দিয়ে মারাত্মক আহত করে। মাহবুবুরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তারা তাকেও কিল ঘুষি ও লাথি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনে মাহবুবুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
মারা যেতে পারে ভেবে অচেতন মাহবুবুরকে তার মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠানো হয়। কিশোরকে অমানুষিক নির্যাতন করার বিষয়টি কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নজরে এলে তার নির্দেশে ভূরুঙ্গামারী সার্কেল এএসপি শওকত আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ইউপি সদস্য রাজু আহমেদ ও অপর সহযোগী জাফর আলী মুন্সিকে গতকাল গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কিশোর নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি সদস্য আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল এএসপি শওকত আলী ইউপি সদস্য রাজু আহমেদ ও তার সহযোগী জাফর আলী মুন্সিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।