রংপুরে পাঁচ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

রংপুরে দু’ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত গতি এবং ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের সাতমাথা চায়না সিনেমা হলের বাস-ট্রাক ও মাহিন্দ্রার ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) আশিক মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী পাভেল এক্সপ্রেস নামের নাইট কোচ ঘটনাস্থলে প্রথমে রংপুরগামী একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। পরে ট্রাকটি ধাক্কা দেয় মাহিন্দ্রাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান।

এদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন কুড়িগ্রামের উলিপুরের দারারপারৰ এলাকার মফিজুল হকের ছেলে রমজান আলী (২৯) এবং কাউনিয়া উপজেলার শ্যামপুরের মঞ্জু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহিন আলম সোহাগ (২৭)। তবে এ ঘটনায় নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও মিলন বর্মন নামের এক যুবক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রমজান আলীর সহকর্মী সোহেল রানা জানান, ‘রমজান আলী অফিসে মিটিংয়ের জন্য উলিপুর থেকে রংপুর আসছিলেন। পরশুদিন তার সাথে কথা হয়েছিল। এখন তার লাশ দেখতে হলো। তিনি এর সাথে জড়িত চালকদের বিচার দাবি করেন।

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের রংপুর জোনের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, ‘সকাল পৌনে ৮টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ বড়দরগাহ হাইওয়ে ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা সাদিকা তালুকদার এন্টারপ্রাইজ রাস্তার পাশে যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দু’টি বাসই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পশ্চিম মৌতলা খানাবাড়ি এলাকার মরহুম সামদানি খানের ছেলে আসলাম খান (৪৫) মারা যান। এ ঘটনায় দু’বাসের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে রংপুর-বদরগঞ্জ সড়কের নব্দিগঞ্জে বাসের ধাক্কায় একজন পথচারী মারা গেছেন। এছাড়াও নগরীর ধানগবেষনা ইন্সটিউট এবং তারাগঞ্জের কামারপুকুর এলাকায় দু’টি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ রংপুর জোনের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, একদিকে ঘন কুয়াশা অন্যদিকে চালকদের বিশ্রামহীনতা, পাশাপাশি আইন না মেনে মহাসড়কে রিকশা, অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা ও মোটরসাইকেল অনিয়ন্ত্রিত গতিতে চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে।