রংপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেশিনপত্র কেনা হয় চায়না থেকে, বিল নেয়া হয় জার্মানির দামে
- রংপুর ব্যুরো
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩
রংপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯টি এনেস্থেসিয়া ভেপোরাইজার মেশিনপত্র কেনা হয় চায়না থেকে। কিন্তু বিল নেয়া জার্মানির দামে। দুদুকের অভিযানে উঠে এসেছে এই চিত্র। আরো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে দুদুক।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় এই অভিযান চালায় দুদক। এ সময় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলোলোজি, অর্থ-প্যাডিক্স বিভাগেও যান তারা।
এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাওন মিয়া। এ সময় তার সাথে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান।
অভিযানের সময় সরবরাহকৃত মিশিনপত্রে অসংগতি দেখতে পান দুদত কর্মকর্তারা। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন কিছু মেশিনের গায়ে স্টিকার নেই, কিছুতে চীনের স্টিকার রয়েছে। প্যাথলজি বিভাগে চারটি মেশিনের মধ্যে দু’টি নষ্ট পান তারা।
অভিযান শেষে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক শাওন মিয়া জানান, নিওমো গত বছরে এপ্রিল মাসে অনেক মেশিন সরবরাহ করে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাতে অভিযোগ উঠে দরপত্র অনুযায়ী মেশিনগুলো জার্মানি থেকে কেনার কথা থাকলেও চীন থেকে কেনা হয়েছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ১৯টি এনেস্থেসিয়া ভেপোরাইজার সরবরাহ হয়। আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছি।
এই দুদক কর্মকর্তা জানান, মেশিনগুলো কেনার কথা ছিল জার্মানির হায়ার কোম্পানি থেকে। আমরা দেখলাম কোনো সিরিয়াল নম্বর নেই। একেকটার লেখা একেক জায়গায়। আর জার্মানির পরিবর্তে চায়নার। বিলও নেয়া হয়েছে জার্মানির দামে। আর মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে কম দামে চায়না থেকে। এ ধরণের অসংগতি দেখেছি। আংশিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে অভিযোগ সত্য। আমরা বিশদ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জানান, এই মেশিনপত্রগুলো কেনাকাটার কোনো পর্যায়ে হাসপাতাল জড়িত নয়। নিওমি থেকে আমাদের সরবরাহ করা হয়েছে। কাগজপত্রে দেখা গেছে প্রতিটি মেশিনের দাম ৪ লাখ করে। বিষয়টি নিওমি অবহিত। সেই অনুযায়ী দুদক অভিযান করল। এখন এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব। আমরা চাই সবচেয়ে আধুনিক মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোক এই হাসপাতালে। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হোক সাধরাণ মানুষের। সেখানে আমরা কোনো ছাড় দেব না।