২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬
`
রংপুরে প্রসিকিউটর মইনুল

নামে নয় মানে আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে চায় আইসিটি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আবু সাঈদসহ সকল হত্যা মামলায় শুধু নামে নয় মানে আন্তর্জাতিক বিচার নিশ্চিত করতে চায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এস এম মইনুল করিম।

আজ সোমবার সকালে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনাস্থল রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ এক সপ্তাহ আগে ট্রাইব্যুনালে হয়েছে। ওই কারণেই তদন্ত করার জন্য ১২ সদস্যের একটি টিম রংপুরে এসেছি। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে এ ঘটনায় মামলা হবে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে এবং গ্রেফতার অভিযান শুরু হবে। পরিদর্শনের সময় ঘটনার এস্কেচ ম্যাপ তৈরিসহ ভিসির কনফারেন্স রুমে ঘটনাস্থলে এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মূলফুটেজ সংগ্রহ করেন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মামলায় অভিযুক্ত হবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রসিডিউটর ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিযুক্ত হবেন কি না সেটিও তদন্তের পর বলা যাবে। জড়িতরা কেউই ছাড় পাবে না।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে আবু সাঈদসহ অন্যান্য ঘটনায় আগের মামলাগুলোর কী অবস্থা হবে প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর মইনুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলা একটি ভিন্ন মামলা। শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় এর আগে যে মামলা হয়েছে সেই মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ওই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

ব্যারিস্টার মইনুল জানান, ‘আবু সাঈদ ছাড়াও রংপুরে জুলাই আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের নিহত হওয়ার ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন তারা। তিন দিনের সফর শেষে আগামীকাল ঢাকা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।’

সাক্ষী ছাড়াও অপরাধ চাইবো না অপরাধ ট্রাইব্যুনালে টিম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড: শওকত আলীর সাথেও পৃথকভাবে কথা বলেন।

ভিসি ড: শওকত আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ জুলাই আন্দোলনের প্রতীক। আবু সাঈদ হত্যা মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ায় আমরা খুশি। আমাদের দাবি, এই মামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গেল ১৬ জুলাই দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মারা যান। এই ঘটনার পর বাড়তি মাত্রা পায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যায় এই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে চলছে বাংলাদেশের কার্যক্রম।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ১৭ জুলাই পুলিশ আন্দোলনকারীদের নামে একটি মামলা করেছিল। এরপর তার বড় ভাই রমজান আলী একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশের কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আমির হোসেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা : কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফল স্থগিত দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে আত্মঘাতি বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান রেজাউল করিমের ভূমি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার রাজনীতিতে স্লোগান নয়, মেধা-বুদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে : মির্জা ফখরুল ৮ দফা না মানলে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ঘোষণা বিজয়কে সরিয়ে তাসকিনকে অধিনায়ক করল রাজশাহী জাতিসঙ্ঘের নির্বাচনী মিশনের সাথে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাত সিরাজদিখানে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা, গুরুতর আহত ৬ চীনে গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আদেশ বুধবার খুলনায় যুবদল নেতাকে কু‌পি‌য়ে হত্যা

সকল