১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`

হাসিনা-মোদি চুক্তির আলোকে দহগ্রামে সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ

শূন্য রেখার একেবারে পাশে দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে বিএসএফ - ছবি : নয়া দিগন্ত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর আজ শনিবার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সীমান্তে বিজিবির টহল ও নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

শুক্রবার দহগ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শ্রমিকদের নিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বিজিবিকে বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে তারা সীমান্তে বেড়া নির্মাণ করছে।

আজ শনিবার দুপরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দহগ্রামের সরকার পাড়া এলাকায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি টহল দিচ্ছে। ওই সীমান্তের ডিএমপি ৮/৪১ শূন্য রেখার একেবারে পাশে দিয়ে বিএসএফ শ্রমিকদের নিয়ে অ্যাঙ্গেল পাতি দিয়ে চার ফুট উচ্চতার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার পর ঘটনাস্থল থেকে সরে গেছে।

বিজিবি জানায়, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দহগ্রাম আঙ্গরপোতা এলাকায় শূন্য লাইন বরাবর বিজিবির বাধার মুখে উভয় পক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার এবং বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি স্পট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই মিটিংয়ে রংপুর ৫১ বিজিবির অধিনায়ক ও বিএসএফ ৬ এবং ৪০ বিএসএফের অধিনায়কসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএসএফ বিজিবিকে জানায়, তিনবিঘা করিডোর এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত দহগ্রাম আঙ্গরপোতা এলাকার সাধারণ মানুষকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তিনবিঘা করিডোর দিয়ে যাতায়াতের জন্য ২০১০ সালে ভারতের মোদি এবং বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তি মোতাবেক বিএসএফ ভারতীয় লোকজনের সহায়তায় দহগ্রাম এলাকায় শূন্য লাইন বরাবর চার ফুট উচ্চতার এক সারিবিশিষ্ট কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে। ফলে বিএসএফ শ্রমিকদের নিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে।

সূত্র জানায়, সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের ওই বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় যে পরবর্তী সময়ে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে সরেজমিনে যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।

আজ শনিবার দুপুরে রংপুর ৫১ বিজিবির সহকারী (এডি) পরিচালক আমীর খসরু সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, এখানে আমাদের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে বিএসএফ এখান থেকে সরে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement