জবুথবু লালমনিরহাটের মানুষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫
ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু এ উপজেলার মানুষ। দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোর থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো রাস্তাঘাট। দু’দিন আগে ঝলমলে রোদ ছিল। রোববার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করছে এ জনপদে।
মহাসড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অপরদিকে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাট ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগেও ছিল ভ্যাপসা গরম। আর এখন প্রকৃতিতে ঋতুবদলের আয়োজন। এরপর শীত আরো বাড়বে, ভোরে কুয়াশার সাথে বৃষ্টি পড়ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে পুরোদমে ঠাণ্ডার প্রভাব বাড়বে।
কালীগঞ্জ দুহুলী এলাকায় রিকশাচালক নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘দুই দিন ধরে পরিষ্কার রোদ ছিল আর রোববার ঘন কুয়াশায় ঢাকা সব। পাশাপাশি ঠাণ্ডাও বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কম।’
কাকিনা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চলের মানুষ। অনেকেই শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালাচ্ছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের শেষে ঠাণ্ডা আরো বাড়বে।’
লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা আলী রাজিব মোহাম্মদ নাসের জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, ‘প্রতি বছর এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা