রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ৩ দিনের রিমান্ডে
- রংপুর ব্যুরো
- ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৯
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রংপুরের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন তাকে আদালতে তোলেন এবং পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
জানা যায়, রিমান্ডের আবেদনে তার বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করার সময় আগে এবং পরে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে একত্রিত হয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ১৪টি স্থির চিত্র এবং একাধিক ভিডিও ফুটেজসহ ২৯টি তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
শরিফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ছাড়াও তার আপন বোন অ্যাডভোকেট সাবিহা আক্তার পপি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মহানগরীর আলমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তাকে পিবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানান, ‘ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলার শিগগির তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে বিচার শুরু করতে হবে। এ মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান এ প্যানেল আইনজীবী।’
শরিফুল ইসলামের আইনজীবী সাবিহা আক্তার পপি জানান, ‘আমার আসামি নির্দোষ। তাকে জামিন না দেয়ায় ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
শুনানির সময় শরিফুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘আমি নির্দোষ। প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে গেছি। কত কাল পরীক্ষা নিয়েছি। বাড়িতেই ছিলাম। আমাকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে এনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমি পিএইচডির জন্য আবেদন করেছি। আমাকে জামিন দেয়া হোক। যখনই যেভাবে আমাকে ডাকা হবে তখনই আমি চলে আসব।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন জানান, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলা আমরা তদন্ত করছি। আদালতের আদেশসহ প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি, বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।’