তিস্তার পানিতে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার আশঙ্কা
- সাব্বির আহমেদ লাভলু, লালমনিরহাট
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮, আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:১৭
ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও অনবরত তিন দিনের বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে, ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেইট খুলে দিয়েছে কতৃপক্ষ।
শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০০ মিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ১৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০টি চর ও পাশের কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার ১০ থেকে ১৫টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘তিন দিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় রাস্তাঘাটে পানি উঠে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।’
নদীগর্ভে থাকা ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, ‘তার ইউনিয়নের ১ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড একেবারেই প্লাবিত হয়েছে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫০০ মানুষ।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেইট খুলে দেয়া হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি, পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তার নিম্নাঞ্চলের যে সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে ওই সব এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে ও ত্রাণ ও সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা