২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কোরআন-সুন্নাহর মাধ্যমেই বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : অধ্যাপক মুজিব

কোরআন-সুন্নাহর মাধ্যমেই বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : অধ্যাপক মুজিব - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যারা অপপ্রচার করে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে, আল্লাহ দুনিয়াতে তাদের বিচার যেমন করেছেন আখিরাতেও করবেন। বিচার তাদের হতেই হবে, দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে তারা বাধ্য। তারা ইসলামকে বিভিন্নভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ইসলামকে তারা কলঙ্কিত করতে পারেনি, পারবে না বরং নিজেরাই কলঙ্কিত হয়ে বিদায় হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈষম্যকে কেন্দ্র করেই ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগে দেখামাত্র কোনো সরকার গুলি করার নির্দেশ দেয়নি। তবে জালিম আওয়ামী লীগ সরকার সেই নজিরও সৃষ্টি করেছে। তাই বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক সমাজ গড়তে হবে। সীরাতুন্নবী সা. উপলক্ষে রাজশাহীতে ‘বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ সা.-এর আদর্শ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে সোমবার সকালে নগরীর একটি মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে ও মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল লতিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদ আলম। এতে অন্যদের মধ্যে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি হাবিবুল্লাহ কাশেমী, অধ্যক্ষ মওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে আল্লাহর ভীতি ও ঈমান নেই, প্রশাসনে এমন লোক না রাখার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের গোলামির রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যার মধ্যে তাকওয়া ও ইমান আছে এমন লোককে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সংস্কারের জন্য বর্তমান সরকারকে সময় দেওয়া দরকার। আগের পচা মালই যদি থাকে, আর এ অবস্থায় যদি নির্বাচন দেন সেই নির্বাচনে কোনো রেজাল্ট হবে? যেই অবস্থা ছিল তাই হবে। সেজন্য সময় দেওয়া দরকার। তবে সময় এত পরিমাণ না নেওয়া দরকার যাতে মানুষ আশঙ্কা করে, বোধহয় জনগণের ভোটে নির্বাচিত আর কোনো সরকার হবে না। এ রকম হলে ক্ষতি হবে, যার অতীত উদাহরণ আছে। বর্তমান যারা সংস্কার করছেন তাদের সময় দেওয়া উচিত। তবে সেটা যৌক্তিক সময়, এ যৌক্তিক সময়টা কত দিনের সেটা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে। আমাদের কথা হলো, এ সমস্ত পচা মাল নিয়ে ইলেকশন করা যাবে না। সেটাকে সংস্কার করতেই হবে। তবে সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে করাই ভালো।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ মানেই হলো- সমাজকে কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালনা করা। যতদিন পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্রে কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত হবে না ততদিন পর্যন্ত দেশে বৈষম্য চলতেই থাকবে। পতিত হাসিনা সরকার সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার নামে দেশের সকল স্তরে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা তাদের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষদের কোথাও কোনো স্থান দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ ইসলামকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। সমাজ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে হলে তাকওয়া সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। যাদের মধ্যে তাকওয়া নেই সে সব ব্যক্তিকে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দেয়া উচিত নয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement