মানুষ হত্যা শেখ হাসিনার নেশা ছিল : রফিকুল ইসলাম খান
- চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আ’ লীগ ৭১'-এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনি, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশের মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জিম্মি ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। মানুষ হত্যা করা ছিল শেখ হাসিনার নেশা।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘১৫ বছর আ’লীগের নিষ্ঠুর ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের অপশাসন ও শোষণের আমলে খুন, গুম, মামলা-হামলা আর স্বাধীন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মহোৎসবে নির্মমভাবে মেতেছিলো। দেশে ন্যয়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারীকে মেনে নেয়া হবে না।’
এনায়েতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. সেলিম রেজার সভাপতিত্ব ও থানা জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. মোফাজ্জল হোসাইন সভা পরিচালনা করেন।
এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, সিরাজগঞ্জ জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনূর আলম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, জেলা নায়েবে আমির মো: আলী আলম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা আমির আরিফুল ইসলাম সোহেল, উল্লাপাড়া উপজেলা আমির মাওলানা শাহজাহান আলী, শাহজাদপুর উপজেলা আমির মাও. মিজানুর রহমান, চৌহালী উপজেলা আমির আবু সালেহ মোহাম্মদ আবু সাইদ, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, বেলকুচি উপজেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকার, এনায়েতপুর থানা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুর, জামায়াত নেতা আল-আমীন খন্দকার, জুবায়ের হোসেন, হাজী রফিকুল্লাহ খন্দকার, শ্রমিক নেতা ডা. আইয়ূব আলী ও থানা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা ফয়সাল খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে আন্দোলনে শহীত তিন পরববারে নগত অর্থ সহায়তা করে জামায়াত নেতৃবৃন্দ।