২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু রাতুল অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত

বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত শিশু রাতুল - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়ায় অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত শিশু জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১২)। ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ সে।

রাতুল বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়া হাকিরমোড় এলাকার মো: জিয়াউর রহমান ও মোছা: রোকেয়া বেগমের সন্তান ও বগুড়া উপশহরের পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থী জুনাইদ ইসলাম রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, গত ৫ আগস্ট তাদের সন্তান রাতুল অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত বিক্ষোভে যোগ দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় বগুড়া শহরের ঝাউতলা এলাকায় মিছিল পৌঁছলে থানার মোড় রেল লাইন এলাকা থেকে আইন-শৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুঁড়তে থাকে।

একপর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থী রাতুল পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তখন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে ভর্তি করা হয়।

শিশু রাতুলের মুখমণ্ডল, চোখ ও মাথায় গুলি লেগে মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। শিশু রাতুলের বাবা একজন মুদি দোকানদার। তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বগুড়া থেকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করাতে বেশ কিছু টাকা ঋণ করতে হয়েছে।

তিনি শুনেছেন, বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য সরকার নিদের্শনা দিয়েছেন কিন্তু শিশু রাতুলের সবধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য তাকে অনেক টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এতো টাকা খরচ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, যেহেতু তার সন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এসে গুলিতে আহত হয়েছে। সে কারণে বর্তমান অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে তার আকুল আবেদন, সরকারী খরচে যেন তার সন্তানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement