বগুড়ায় শহর পরিষ্কার ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা
- বগুড়া অফিস
- ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৩৯
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর সারাদেশের মতো বগুড়াতেও লাখ জনতা রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। এ সময় শহরজুড়ে সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা নিজ হাতে পরিষ্কার করতে মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) তারা একইসাথে পুলিশের অনুপস্থিতিতে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে উল্লাসের মাঝেই বগুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক আনন্দ উল্লাস হয়েছে।
লোকজন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে সদর থানা, সদর ফাঁড়ি, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ ভবন এবং ইউএনওর বাসভবন। একইসাথে চলেছে সুযোগ সন্ধানীদের লুটপাট।
মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বগুড়া সদর থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্রগুলোর পুলিশ সদস্যদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানা কিংবা ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ এখন ব্যারাকে। কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা সদরের কোনো পুলিশের কাছে সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মূল ফটকেও ঝুলছে তালা। এখানে কোনো পুলিশ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা নেই বলে সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া বগুড়া সদরের আটটি পুলিশ ফাঁড়ির সব পুলিশকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের পুরো দায়িত্ব পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথা ও আশপাশের মোড়গুলোতে দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে সহায়তা করছে। একইসাথে তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনভর সাতমাথা ও আশপাশের এলাকার রাস্তার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে। শিক্ষার্থীদের এমন মহতী উদ্যোগে সাধারণ পথচারীরা প্রশংসা করেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিহার করার অনুরোধ জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা