ছাত্র-জনতার গণমিছিলে উত্তাল বগুড়া, গ্রেফতার ২
- বগুড়া অফিস
- ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১৯
ছাত্রজনতা হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার ছাত্রজনতার অংশগ্রহণে বগুড়ায় পালিত হয়েছে গণমিছিল। পুলিশ কোনো বাধা না দেয়ায় কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে। এতে ছাত্র ছাড়াও সাংবাদিক, আইনজীবী, ডাক্তার, শ্রমিক, কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক খণ্ড খণ্ড মিছিলে অংশ নিয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় অবস্থান নেয়।
এ সময় পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের অবস্থান থেকে দূরে সরে গিয়ে সমাবেশের সুযোগ দেন। তবে এ সময় সোনাবাহিনীর সদস্যদের সাতমাথা এলাকায় দেখা যায়নি। ছাত্রজনতা মিছিল শেষে প্রায় ২ ঘণ্টা শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা স্থান করে আবার মিছিল সহকারে ফিরে যান। এ সময় ওই মিছিলে মা বাবা, ছেলে, মেয়ে একইসাথে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে সতর্ক পাহারায় ছিল গরম পানির ট্যাংক, এপিসি কারসহ আধুনিক সরঞ্জমাদি। একটানা বৃষ্টিতে ভিজে মিছিলকারীরা কাক ভেজা পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগান ছিল, এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনীর সরকার, আমার ভাই মরলো কেন সরকার জবাব চাই, ইত্যাদি।
এ দিকে জেলার সারিয়াকান্দিতে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা মামলায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীসহ তিনজকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে দুই শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আটকরা হলেন সিয়াম বাবু (১২) ও সাবিদুল ইসলাম সুপ্ত (১১)। সিয়াম সারিয়াকান্দি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও সুপ্ত একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। এ মামলার প্রধান আসামি আব্দুল মোমিনকে (২২) আটক করা হয়েছে। সিয়াম বাবু উপজেলার পৌর এলাকার আন্দরবাড়ি গ্রামের মিঠু ইসলামের ছেলে এবং সুপ্ত একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। অপরদিকে আব্দুল মোমিনও ওই গ্রামেরই শাহীন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের রেসকিউ বোর্ডের আউটসোর্সিং ড্রাইভার সারিয়াকান্দি থানায় দুটি পৃথক মামলা করেন।
বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গ্রেফতার দুই শিশুকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজির করার পর বিচারক বগুড়া কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি আবদুল মোমিনকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের মহাস্থান বগুড়া-১ এবং মহাস্থান বগুড়া-২ নামক রেসকিউ বোর্ডের আউটসোর্সিং ড্রাইভার মোস্তাফিজার রহমান এবং ওবায়দুল রহমান উপরোক্ত আসামিদেরকে রেসকিউ বোর্ডে ভাঙচুর করতে দেখেন। রেসকিউ বোর্ড দুটি কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধের দক্ষিণ পাশের শশ্মান ঘাটে বাঁধা ছিল। পরে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, দুটি রেসকিউ বোর্ডে ২২০ লিটার তেল মজুদ ছিল। মামলার প্রধান আসামি এবং এ কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে দু’জন শিক্ষার্থীকে দুই মামলায় গ্রেফতারের পর গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা