২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাজশাহীতে এমপি শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

শাহরিয়ার আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় - ছবি : নয়া দিগন্ত

দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের এমপি শাহরিয়ার আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা এমপি শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে শাহরিয়ার আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু আগে কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা এমপি শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে শাহরিয়ার আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির। সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন আরাফাত সৈকত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা: শুভ কুমার মন্ডল। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুম মুবিন সবুজ।

এতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বক্তারা আরো বলেন, বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেননি শাহরিয়ার আলম। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু হয়। তাই শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। তার বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছে শাহরিয়ার আলম। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে শাহরিয়ার আলম ও তার সহযোগীরা। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement