২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বগুড়ায় তীব্র লোড শেডিং, ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ

বগুড়ায় তীব্র লোড শেডিং, ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়ায় তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তড়িঘড়ি ক্লাস বন্ধ করে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের বগুড়া কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত হোসেন। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জিম্মায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

বগড়া কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখার অ্যাকাডেমিক ইনচার্জ শাজাহান আলী জানান, দুপুর ২টা ৬ মিনিটে প্রতিদিনের মতো মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্ন বিরতি দেয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে তারা বিরতি শেষে শ্রেণিকক্ষে ফেরে। ওই সময় শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। অতিরিক্ত গরমে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার ৩০৪ নম্বর কক্ষে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোজাইফা অসুস্থ হয়ে পড়ে ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাকে দেখে ওই কক্ষের আরো ১০ জনসহ পাশের ৩০২ নম্বর ও ৩০৩ নম্বর কক্ষের সপ্তম ও নবম শ্রেণির ২১ শিক্ষার্থী (ছাত্রী) অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা সবাই মাথাঘোরা ও গা কাপার কথা জানিয়েছিল। অসুস্থ রোজাইফাকে জলেশ্বরীতলা সরকারি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়। বাকিদের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অভিভাবকদের জিম্মায় পাঠানো হয়েছে।

অসুস্থ হয়ে পড়া সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফা আক্তার বলেছে, রোজাইফার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখে ভয় পেয়েছিলাম। আমারো মাথাঘোরা ও হাত-পা কাঁপা শুরু হয়।

কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল মামুন সরদার বলেন, সকাল থেকে ভ্যাপসা গরম ছিল। মধ্যাহ্ন বিরতিতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলা করে শ্রেণিকক্ষে ফিরলে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। রোজাইফার আগে থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। অতিরিক্ত গরমে রোজাইফা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

আবহওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, শনিবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল ৩১ দশমিক ৭। একদিনের ব্যবধানে রোববার ৩ ডিগ্রি তাপমাত্র বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরম দেখা দিয়েছে। বঙ্গপোসাগরে লঘু চাপের কারণে তপামাত্রা উঠা নামা করছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বলেন, রোজাইফা নামের শিক্ষার্থী আগে থেকে অসুস্থ ছিল। রোদ ও গরমের মধ্যে খেলাধুলার পর তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাকি শিক্ষার্থীরা ম্যাচ সাইকোলজিকাল ডিজিসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঘটনাটি স্বাভাবিক।

জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দেখে বাকি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়। অতিরিক্ত গরমে বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে খুব বেশি খেলাধুলা করতে না পারে সেই বিষয়টি দেখা হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও অবগত করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement