২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাজশাহীতে সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীতে সেলসম্যানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড - প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মোবাইলফোনের দোকানের সেলসম্যানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার দায়ে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরের দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার কাজিপাড়ার মৃত সানাউল্লাহর ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) ও বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৬)। এছাড়া একই মামলায় মেহেদী হাসান রকি (২৫) নামে আরো এক আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

নিহত জহুরুল ইসলামের (২৩) গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম বাজারে। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। জহুরুল বাঘার পানিকামড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করতেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি একটি আম বাগানে জহুরুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে স্মার্টফোন বিক্রির পাওনা টাকা চাওয়ার জন্যই জহুরুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু গণমাধ্যমকে জানান, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে ব্যবহারের জন্য বাকিতে তিনটি স্মার্টফোন কিনেছিলেন। জহুরুল পাওনা টাকার জন্য প্রায়ই তাদের চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন কোনোভাবেই সেই টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা দেয়ার নাম করে কৌশলে জহুরুলকে একটি আমবাগানে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল স্মার্টফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে তারা পালিয়ে যান। তারা লুটকৃত স্মার্ট ফোনগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন।

ঘটনার পর ওই বছরের ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রাম থেকে জহুরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার ভাই থানায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরে পুলিশের তদন্তে দু’জনের নাম পাওয়া যায়।

অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু আরো জানান, বাঘা থানা পুলিশ এই মামলার তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদিপক্ষ।


আরো সংবাদ



premium cement