রাবিতে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার
- রাবি প্রতিনিধি
- ১৫ মে ২০২৪, ০৯:২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে তাদেরকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাবি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দফতর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘সংগঠন পরিপন্থি কাজ ও বিশৃঙ্খলার দায়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলাম, তারা তদন্ত করে আজ চারজনকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করে পার পায় না। সংগঠন পরিপন্থি কাজ করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেয় সেটি আবারো প্রমাণিত করলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম শাকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাবি ছাত্রলীগের সকল কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। ছাত্রলীগের যেকোনো নেতাকর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়াবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মকাণ্ডই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা রাবি শাখার যে দু’জন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আছি, খুব দ্রুতই আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো। সেখানে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইস্যু সরেজমিনে পর্যালোচনা করবো। প্রয়োজন হলে ক্যাম্পাসে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে এমন আরো স্টেপ নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।