১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ায় বিএনপি নেতা হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আমিনুল গ্রেফতার

বগুড়ায় বিএনপি নেতা হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আমিনুল গ্রেফতার - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, যুবলীগ নেতা ও জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত নামন্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বিএনপি নেতা ও আইনজীবী শাহীন হত্যা মামলায় বিগত ধার্য্য দিনে আমিনুল ইসলাম অনুপস্থিত ছিলেন। বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদরের; নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় সদর উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বগুড়া বার সমিতির সদস্য ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ মোট ১১ জনের নামে মামলা করেন। বগুড়া মোটরমালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ওই বছরের ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বরে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। শাহীন হত্যায় মামলা হওয়ার পর আমিনুলসহ মোট পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। বাকি চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

এই মামলায় ওই সময় আসামিদের গ্রেফতারের পর পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিল জেলা মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে শাহীন খুন হয়েছেন এবং হত্যার পরিকল্পনা ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর মোটরমালিক গ্রুপের এক নেতার অফিসে হয়। পরে গ্রেফতাররা ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আমিনুল ইসলামের পরিকল্পনাতেই শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে তারা ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement