০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১,
`

ধর্ষণের বিচার দাবিতে ৬ কিমি খালি পায়ে হাঁটলেন রাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ধর্ষণের বিচার দাবিতে ৬ কিমি খালি পায়ে হাঁটলেন রাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারা দেশে ধর্ষণ, নির্যাতনের বিচারের দাবিতে খালি পায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার খালি পায়ে হেঁটে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।

এই পদযাত্রায় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান ও আররি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান তার ফেসবুক টাইমলাইনে শুক্রবার বেলা ১১টায় এই পদযাত্রা শুরু করবেন বলে উল্লেখ করেন। ফলে আজ নির্ধারিত সময়ে পদযাত্রা শুরু হয়ে রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেশ কয়েক মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

খালি পায়ে পদযাত্রার বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, দেশব্যাপী নারীদের ওপর চলমান নৈরাজ্য, সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আমরা আজ পথে দাঁড়িয়েছি। নারীদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা খালি পায়ে পদযাত্রা করছি। আমরা একটি ধর্ষণমুক্ত সমাজ চাই।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সমাজে ধর্ষণ একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এখনই সময় নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বোচ্চার হওয়ার। আজ নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন হয়েছে কাল যে আমাদের মা-বোন হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাষ্ট্র আইন করে তবে তার প্রয়োগ যথাযথ করতে পারে না। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। মূলত একটা ভালো সমাজের জন্য ও সমাজের যাবতীয় অসঙ্গতিগুলোর বিরুদ্ধেই আমাদের এই পদযাত্রা।

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মসাউদ বলেন, আজকে দেশব্যাপী নারীর প্রতি যে ধরনের ভয়াবহ নিপীড়ন ও সহিংস আচরণের প্রকাশ ঘটছে তার প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে প্রতিবাদ করতে হবে। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রকে এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। সর্বস্তরে নৈতিকতার চর্চা ও শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement