২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মৌসুম শুরু হলেও আম পাড়তে আগ্রহ নেই চাষীদের

মৌসুম শুরু হলেও আম পাড়তে আগ্রহ নেই চাষীদের - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজশাহী অঞ্চলে আম পাড়ার আইনি বাধা শেষ হয়েছে গত ১৪ মে। পরদিন শুক্রবার থেকে আম পাড়া শুরু করার কথা থাকলেও এবার হাট ও আড়ৎগুলোতে কেনা-বেচার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। বাগান মালিকরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রায় সবাই লকডাউনে আছেন। এরপর সামনে ঈদ। রোজার পর থেকে আমের বাজার পুরোদমে জমবে বলে আশা করছেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলার সর্ববৃহৎ আম আড়ৎ বানেশ্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমের হাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস মাঠ পুরোই ফাঁকা পরে আছে। রবিউল ইসলাম নামে একজন চাষী ভ্যানে করে ১৫০ টাকা কেজি করে আম বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে পুরো আমের হাট আবারো ফাঁকা হয়ে গেছে। বানেশ্বর ও তার আশেপাশের বেশির ভাগ আড়ৎ ঘরগুলো বন্ধ পড়ে আছে। হাতে গোনা মাত্র দু’তিনটি আড়ৎ খোলা রয়েছে।

হাটে আমের দর দেখতে আসা বাগান মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আম ভাঙ্গা শুরু হলেও আবহাওয়ার কারণে এবার আম একটু দেরিতে পাঁকবে। তাছাড়া ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ৪/৫ দিন। ঈদের পরই সবাই আম নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। এবার বেশিরভাগ বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত আম ধরেছে। তার ওপর বড় রকমের দুর্যোগ না হওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুন আম উৎপাদন হবে। তবে করোনা ও লকডাউনের কারণে এবার আমে বাজার কেমন হবে বলা মুশকিল।

স্থানীয় আড়ৎদার রাজু আহম্মেদ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৫ তারিখে আম ভাঙা শুরু হলেও বর্তমানে বাজার এখনো জমে উঠেনি। করোনার প্রভাবের কারণে ও সামনে ঈদের আগে মনে হয় চাষীরা আম ভাঙতে চাচ্ছেন না। যার কারণে এখন সারাদিনে হাতে গোনা কয়েক ভ্যান আম কেনা বেচা হয়।

বর্তমানে গুটি জাতীয় আমের মৌসুম চলছে। আমের প্রকার ভেদে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা দরে কেনা-বেচা হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে আম আড়ৎগুলোতে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ক্রেতাদের আগমন এখনো শুরু হয়নি।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান বলেন, গত ১৫ তারিখে আম ভাঙা শুরু হলেও এখনো বাজার ভালোভাবে জমে উঠেনি। তবে আম আড়ৎ ও বাগানগুলোতে সার্বক্ষণিক আমাদের মনিটরিং রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement