হাসিনা সংখ্যালঘুদের ব্যবহারের চেষ্টা করছে : টুকু
- নুরুল ইসলাম রইসী, সিরাজগঞ্জ
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
হাসিনা সংখ্যালঘুদের ব্যবহারের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে টুকু বলেন, ‘আপনারা হাসিনার পাতা ফাঁদে পা দিবেন না। আমার একবিন্দু রক্ত থাকতে সিরাজগঞ্জের হিন্দুদের ক্ষতি হতে দিবো না। কিন্তু আজকাল কিছু আওয়ামী হিন্দু হয়েছে। তাদের দিয়ে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে। আমি হাসিনাকে বলি, এসব করে লাভ হবে না; আপনার মনের আশা পূরণ হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনো যুদ্ধ শেষ হয় নাই, আরো যুদ্ধ করতে হবে। আর আমি জানি আপনারা সেই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। সুতরাং শত্রুকে কখনো ছোট ভাববেন না, শত্রুকে শত্রুই ভাবতে হবে।’
টুকু বলেন, ‘শহীদ জিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, তাই সবাইকে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলেন। তাই আওয়ামী লীগও সুযোগ পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে অনেক খারাপ করেছে। পরে ছেলে-মেয়ে সব নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু আমি শুনেছি, সিরাজগঞ্জে আমার দলের কিছু নেতার আশ্রয়ে আছে আওয়ামী লীগ। যদি এমন হয় তাহলে তারা বিএনপি করতে পারবে না।’
বিএনপি নেতা টুকু আরো বলেন, ‘আ’লীগ কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, আবু সাইদের গুলি লেগেছে তাহলে রক্ত কই? টুকু প্রশ্ন করেন, যদি আজ আপনার ছেলে জয়ের এমন গুলি লাগতো তাহলে আপনি এই কথা বলতে পারতেন; সাইদের মাকে জিজ্ঞেস করেন তার কলিজায় কেমন লাগছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের ভোট ছাড়া কেউ নির্বাচিত হইনি। শহীদ জিয়া আজ নেই, কিন্তু তিনি গণতন্ত্র রেখে গেছেন। এখন খালেদা জিয়ার চেয়ে বড় গণতান্ত্রিক আর কেউ নেই। আরেকজন হলেন তারেক রহমান। এক সময় জিয়াউর রহমান এই শ্মশান বাংলাদেশকে সুজলা-সুফলা বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। আজ তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন, হাসিনার শ্মশানে পরিণত করে যাওয়া দেশকে সুন্দর করার জন্যই এই ৩১ দফা।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদিউজ্জামান বদির সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ।
জনসভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খাঁন আলিম। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছাইদুর রহমান বাচ্চু, সিরাজগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থানের সঞ্চালনায় জনসভায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, ভিপি শামীমুর রহমান খান শামীম, ভিপি অমর কৃঞ্চ দাস, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, রাশেদুল হাসান রঞ্জন, হারুন রশীদ খান হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান, আবু সাইদ সুইটসহ স্থানীয় অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা