১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নাটোরে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

- ছবি : প্রতীকী

নাটোর সদর উপজেলায় ১০ বছর বয়সী এক শিশু ছাত্রীকে প্রশ্ন দেখানোর প্রলভনে ধর্ষণের দায়ে হযরত আলী (৪২) নামের এক প্রাইভেট শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম মহল্লার মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং বাগরুম ব্রাক শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা সুফিয়া বেগমের স্বামী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিকেলে শিশু শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে ব্রাক স্কুলে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে শিশু ছাত্রীকে প্রশ্ন দেখিয়ে দেয়ার প্রলভন দেখিয়ে নিজ বাড়ি নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা জানাজানি করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ১২ জুলাই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনা জানতে চাইলে শিশুটি ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ঘটনার পর শিশুটির বাবা আব্দুল আওয়াল শিক্ষক হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে হযরত আলীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের মিয়া জানান, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ছয় বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ শিশুটি পাবেন।


আরো সংবাদ



premium cement