তিনটি পর্বতারোহণে রেকর্ড গড়লেন চাটমোহরের তৌকির
- মো: নূরুল ইসলাম, চাটমোহর
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪১
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে নেপালের ৩টি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করলেন পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৮)। আবার সেটি কোন শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই আরোহণ করেছেন তিনি।
পর্বতারোহী তৌকিরের বাবা আকরাম হোসেন সাবু বলেন, ‘তৌকির হিমালয়ের ছয় হাজার মিটার উচ্চতায় শুধু লাল-সবুজের মানচিত্রকে নয়। সে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এ বছর তৌকির গত ১৩ অক্টোবর পর্বতের ছয় হাজার ১১৯ মিটারের লবুচে, ১৮ অক্টোবর ছয় হাজার ১৬৫ মিটারের আইল্যান্ড এবং ৩০ অক্টোবর ছয় হাজার ৪৭৬ মিটারের মেরা পিকের শিখর স্পর্শ করে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়েছে। একই সাথে এ তিনটি পর্বতের চূড়া বাংলাদেশের কেউ স্পর্শ করে নাই।’
তৌকিরের বাবা আরো বলেন, ‘২০২৫ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে তৌকিরের। বর্তমানে তৌকির নেপালে অবস্থান করছেন। সে এ মাসেই দেশে ফিরবেন।’
পর্বতারোহী স্বপবাজ এই তরুণ ২০২৩ সালের ১৯ ও ২১ অক্টোবর দু’টি পর্বতচূড়া আরোহণ করেন। ১৯ অক্টোবর খুম্বু রিজিওনের পাঁচ হাজার ৭৬ মিটার উচ্চতার নাগা অর্জুন। ২১ অক্টোবর ছয় হাজার ১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন তৌকির।
গত বছর তার ঝুলিতে আরো একটি অর্জন যুক্ত হয়েছে। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে কমার্শিয়াল এক্সপেডিশনের দলনেতা হয়ে একটি সফল ছয় হাজার মিটার অভিযান সম্পন্ন করেছিলেন।
চাটমোহর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো: আব্দুর রহিম কালু বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব এটাই যে, তৌকির কোনো শেরপা বা গাইডের সাপোর্ট ছাড়া একা লবুচে পিকের শিখর স্পর্শ করেছে। জানামতে লবুচে পিকে এর আগে কোনো বাংলাদেশী গাইড ছাড়া একা অভিযান করেনি। এটাও একটা রেকর্ড ছিল। নিশ্চই আগামীতে সে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শিখরেও পা রাখবে। তখন নিশ্চই আমরা আরো গর্বিত হবো, গর্বিত হবে দেশ।’
চাটমোহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ‘সপ্নবাজ এই তরুণ আমাদের চাটমোহরের সন্তান। তার এ সফলতায় এলাকাসহ দেশবাসী গর্বিত।’
আহসানুজ্জামান তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু ও সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতির ছেলে। দু’ভাইয়ের মধ্যে তৌকির ছোট। তিনি চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা