০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহীতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রিমিয়ার ব্যাংকের লোগো - ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের গ্রাহকদের সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী শাখার আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা রাজশাহী মহানগর বিশেষ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা গণমাধ্যমকে জানান, ‘দুদকের সমন্বিত, জেলা কার্যালয় রাজশাহী ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার সাবেক সিনিয়র ক্যাশ অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ এফ এম শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সালের (৪২) বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর মামলাটি তদন্তকালে ডেপুটি ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্ত) মাজেদুল ইসলাম, সাবেক অফিসার (ক্যাশ) মাহবুবুল আলম ও আতাউর রহমান, সাবেক এসএভিপি (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) শাহ মাসুদ জামাল, ট্রেইনি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রাকেশ কুমার দত্ত, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ফাহমিদা উম্মে নাজনীন এবং সাবেক ম্যানেজার ও জোনাল ম্যানেজার (বর্তমানে বরখাস্ত) সেলিম রেজা খানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

তারা পরষ্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা প্রকৃতপক্ষে তাদের হিসাব নম্বরে জমা না করেই ভুয়া জমা স্লিপ দেন। তারা গ্রাহকের টাকা জমা দেখিয়ে চেকে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ জুল বাদাইন নামে এক গ্রাহকের হিসাব থেকে ১৬টি চেকের মাধ্যমে এককোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ফজিলা খাতুনের হিসাব থেকে ১৫টি চেকে এক কোটি চার লাখ ১৫ হাজার টাকাসহ মোট দু’কোটি ২০ লাখ পাঁচ হাজার টাকা তুলে নেন। এছাড়া আরো এক কোটি ২৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে ভল্ট থেকে সরাসরি নিয়ে নেন। এভাবে বিভিন্ন কৌশলে তারা পরস্পর যোগসাজশে মোট তিন কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি দুদক তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। এরপর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদক আইনজীবী আরো জানান, আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তী আইনিকার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংক রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলাম ফয়সালকে আটক করে পুলিশে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ওই সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।


আরো সংবাদ



premium cement