৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কুষ্টিয়া নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার লাশ পাবনায় উদ্ধার

কুষ্টিয়া নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার লাশ পাবনায় উদ্ধার - সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনের (৪০) লাশ পাবনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ এএসআই সদরুল আলমের (৪২) লাশ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে মুকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ নিয়ে নিখোঁজ দুই কর্মকর্তার লাশই উদ্ধার করা হলো।

মুকুল হোসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার কালা চাঁদপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল লতিফের ছেলে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সকালে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে পদ্মা নদীতে এক ডিঙি নৌকার মাঝি আমাদের ফোন করে লাশ ভেসে থাকার খবর দেয়। তারা লাশটি রশি দিয়ে ড্রেজারের সাথে বেঁধে রেখেছিল। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা কুষ্টিয়ায় পুলিশ নিখোঁজের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে লাশটি এএসআই মুকুলের বলে শনাক্ত করা হয়।’

গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোর রাতে কুমারখালী উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযানে যায় পুলিশ। কুমারখালী থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে নিয়ে নৌকায় করে পদ্মা নদীতে যান স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।

ওই সময় অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এর সময় নৌকায় থাকা কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিলেন।

এরপর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ঘা‌ট এলাকার মাঝ নদী‌ থেকে নিখোঁজ এএসআই সদরুল আলমের (৪২) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

সদরুল আলম পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে।


আরো সংবাদ



premium cement