‘জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য’
- রাজশাহী ব্যুরো
- ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১২
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনের সিটি হল সভাকক্ষে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করছে। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ১৮ দিনব্যাপী।
তিনি আরো বলেন, আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিতে হবে। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটি পর্যায়ে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর।
এইচপিভি টিকার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধ, অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন নানাবিধ ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এইচপিভি ক্যাম্পেইন বিষয়ে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম।
রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী মহানগরীর জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ স্কুলপর্যায়ে ২৪ অক্টোবর হতে পরের ১০ কর্মদিবস চলমান থাকবে। নগরীর ৩০৬টি স্কুলের ২৩ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীকে এ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্কুলপর্যায়ে ২৫৩টি কেন্দ্রে দু’জন টিকাদানকারী, দু’জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। কমিউনিটি পর্যায়ে ৭ নভেম্বর শুরু হয়ে পরবর্তী আট কর্মদিবসে ৬০টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা পেতে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কাজে নিয়োজিত থাকবে। কমিউনিটি পর্যায়ে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করে নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ও পাথ-এর সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের সচিব মো: মোবারক হোসেনসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।