১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

রাজশাহীতে কেটে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

ইলিশ - প্রতীকী

রাজশাহীর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাটা ইলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে নগরীর সাহেব বাজারে ইলিশ কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে।

এ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়। আগের দিন ব্যবসায়ী নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্রেতারা চাইলে এক পিস ইলিশও কিনতে পারবেন।

এ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার বাজারে প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটে। কিন্তু বেশি দামের কারণে হতাশ হয়ে অনেকে ফিরে গেছে।

সকালে সাহেব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু মাছ বিক্রেতা ইলিশ কেটে বিক্রি করছেন। তবে এক পিস নয়, কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম না হলে তারা ইলিশ বিক্রি করছেন না।

ক্রেতাদের অভিযোগ, যে আকারের মাছ কাটা হচ্ছে, সেগুলোর দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। অথচ কাটার পর এই মাছেরই ২৫০ গ্রামের (এক পোয়া) দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা।

এর আগে, সকালে রাজশাহী মৎস্যজীবী সমিতি কাটা ইলিশ বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আয়োজন করে। সেখানে ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফরিদ মামুদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী।

আগের দিন সেকেন্দার আলী প্রচারণা চালান যে ক্রেতা চাইলে এক পিস ইলিশও কিনতে পারবে।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। আবদুর রহিম নামের এক বিক্রেতা অল্প কিছু মাছ কেটে রেখেছেন সামনে। কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম ছাড়া তিনি বিক্রি করছেন না। ২৫০ গ্রামের দাম ৪০০ টাকা।

রফিকুল হক নামের এক ক্রেতা ছোট আকারের মাছের এমন দাম শুনেই সেখান থেকে চলে যান। রফিকুল বলেন, ‘২৫০ গ্রামের দাম ৪০০ টাকা হলে মাছের কেজি হয় এক হাজার ৬০০ টাকা।’

লিটন আলী নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘মাছের আকার অনুযায়ী, অর্থাৎ যে আকারের মাছ কাটবে সেভাবে সমন্বয় করে দাম বলা উচিত। কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের সাথে এক ধরনের চালাকি করছেন। ছোট মাছ কেটে তারা বড় মাছের দাম চাইছেন। এভাবে ব্যবসা করলে পিস আকারে কাটা মাছ বিক্রিতে সাড়া মিলবে না।’

এছাড়া ২৫০ গ্রামের কম বিক্রি না করার সিদ্ধান্তও সঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাছ বিক্রেতা আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোটা মাছ আর কাটা মাছ একদামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। সে কারণে কাটা মাছের দাম বেশি।’

২৫০ গ্রামের কম বিক্রি করলেও লোকসান হবে বলে তার দাবি।

এ বিষয়ে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক পিস মাছ বিক্রি করতে গেলে মাথাটা অবিক্রিত থেকে যাবে। তাই বিক্রেতারা এক পিস মাছ বিক্রি করতে রাজি নয়। আমরা সমাধান দিয়েছি যেন, মাথাটা ছোট আকারে কাটা হয় এবং কেউ এক পিস নিলেও যেন তাকে মাথার ছোট একটা পিস দেয়া হয়। তাহলে মাথাও বিক্রি হবে, ক্রেতারাও এতে খুশি হবে। আমরা চাই সবাই ইলিশের স্বাদ নিক।’

ছোট মাছ কেটে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে সেকেন্দার আলী বলেন, ‘আমরা বিক্রেতাদের বলেছি যেন কমপক্ষে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ কাটা হয়। এই মাছের দাম এক হাজার ৮০০ টাকা কেজি। কেটে বিক্রি করলে কেজি প্রতি বাড়তি ২০০ টাকা নেয়া যাবে। এর ব্যতিক্রম হলে ক্রেতারা আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। তখন আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’


আরো সংবাদ



premium cement