০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

শেরপুরে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

শেরপুরে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার - ছবি : নয়া দিগন্ত

দলীয় নীতি ও আদর্শপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১০ নম্বর শাহবন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (মেম্বার) জাহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) উপজেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু কর্তৃক বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা ১০৭ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলামকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক শেরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে একদল পুলিশ আটক করতে যান। এ সময় জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের পুরুষ ও নারী সদস্যরা বাধা প্রদান করে। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাব ইন্সপেক্টর তোফাজ্জল হোসেন শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলামের কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাড়ি তল্লাশি করে সিরাজুল ইসলামকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় জাহিদুল ইসলাম সকল সদস্য আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির পেছন দড়জা দিয়ে পালাতে সহায়তা করে। এ ঘঠনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপির নের্তৃবৃন্দকে জানালে সাথে সাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি একজন জন-প্রতিনিধি। সন্ধ্যায় আমাকে বাড়ি থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় পুলিশ এসেছে। আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মামা সিরাজুল ইসলামকে আটক করতে যায় পুলিশ। আমি পুলিশকে জানায় তিনি নির্দোশ। হামলার সাথে তিনি যুক্ত নয়। উপস্থিত পরিবারের নারীসহ বেশ কয়েকজন সদস্য সিরাজুল ইসলামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ কারণেই হয়তো বহিষ্কার করা হয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে জাহিদুল ইসলাম বাড়ি ভাঙ্গচুরসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রমাণিত রয়েছে। এছাড়াও অদ্যই ৮ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম বিএনপির করা মামলার আসামী সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ আটক করতে গেলে বাধা প্রদান করে পালাতে সহায়তা করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামি সিরাজুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়ার আগেই কথাবার্তার একপর্যায়ে জাহিদুল ইসলাম আসামিকে পালাতে সহায়তা করে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল