২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

গবেষণা প্রকল্পে রাবির সাথে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের চুক্তি

গবেষণা প্রকল্পে রাবির সাথে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের চুক্তি - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাণীক্ষেত রোগের টেকসই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশে গ্রামীণ মুরগি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক আয়োজনে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

রাবি ভিসি অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব ও হেইফার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুরুন নাহার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বিত উদ্যোগে ‘রাণীক্ষেত রোগের টেকসই নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে বাংলাদেশে গ্রামীণ মুরগির উৎপাদন উন্নতকরণের জন্য অংশগ্রহণমূলক কর্ম গবেষণা’ শীর্ষক এই প্রকল্পের গবেষণাকর্ম আগামী চার বছর পরিচালিত হবে।

সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রকল্পটির পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শশি আহমেদ বলেন, এই সমন্বিত প্রকল্পের লক্ষ্য রাজশাহী ও নাটোর জেলার ১১৮টি গ্রামের মুরগি উৎপাদন বৃদ্ধি করা, যা পাঁচ হাজার গ্রামীণ পরিবার, বিশেষ করে নারীদের পুষ্টি নিরাপত্তা ও আর্থিক সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া একই চুক্তিতে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডেভলপমেন্ট পলিসি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. স্টিফেন হাওয়েস এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত কায়িমা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মারজিকা জেলোনস্কি ফ্র্যাটজেন অনলাইনে স্বাক্ষর করবেন বলে জানান তিনি।

হেইফার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুরুন নাহার বলেন, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের গ্রামীণ মুরগির রোগ নিয়ন্ত্রণের টেকসই কৌশল উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য একটি উষ্ণতাসহনশীল ভ্যাকসিন পরীক্ষার পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্ব গ্রামীণ বাংলাদেশের মুরগি চাষের টেকসই অনুশীলন প্রচারে এবং কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সাহায্য করবে।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে রাবি ভিসি অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, এই গবেষণা প্রকল্পটি আশা করি সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে এবং দেশের কল্যাণে কাজে আসবে। এ সময় তিনি সুন্দর একটি প্রকল্প হাতে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন, অফিস অব দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম, রাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক আকতার হোসেন মজুমদার, হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৪৪ সাল থেকে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের টেকসই অবসানে সারা বিশ্বের ৪৬ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের সাথে কাজ করছে। স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এবং টেকসই আয়ের মাধ্যমে নিরাপদ জীবিকা নিশ্চিত করতে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকার স্থানীয় কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


আরো সংবাদ



premium cement