রাজশাহীতে শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেলের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর
- রাজশাহী ব্যুরো
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৮
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুই হাতে জোড়া পিস্তল নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা জহিরুল হক রুবেলকে (৪১) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। পরে শুনানি শেষে রুবেলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক মো: ফয়সল তারেক।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রুবেলকে আদালতে হাজির করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ।
ওই সময় আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করলে দ্বিতীয় দফায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রুবেলের নামে এরইমধ্যে দুই শিক্ষার্থী হত্যাসহ চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় ওই দিন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সূত্র বলছে, প্রথম দফার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর রুবেল জোড়া পিস্তল হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে কান্নাকাটি করেছেন রুবেল এবং নিজেকে রাজনীতিতে জড়ানোয় অনুতাপ প্রকাশ করেছেন।
রুবেল পুলিশ সদস্যদের জানিয়েছেন, এর চেয়ে বাদাম বিক্রি করে খেলেও ভালো করতেন। তাহলে অন্তত এমন বিপদ এড়ানো যেত বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে র্যাবের অভিযানে ধরা পড়ে অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা রুবেল। দুই হাতে গুলি চালানো এই রুবেল ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। জহিরুল ইসলাম রুবেলের বাড়ি রাজশাহী নগরীর চন্ডিপুর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে তৎকালীন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে একটি শক্তিশালী শুটার বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। ওই শুটার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগ নেতা রুবেল। ওই দিন দুপুরে তালাইমারী এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা নগরীর সাহেববাজারের দিকে এগোতে থাকেন। তারা শাহ মখদুম কলেজ এলাকায় পৌঁছলে রুবেলের নেতৃত্বে শুটার বাহিনী নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোড়তে থাকেন।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রুবেল মাথায় হেলমেট পরে দুটি পিস্তল দুই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি ছুড়ছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকিব আনজুম ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। জহিরুল ইসলাম রুবেল এই দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা