‘মানব কম্পিউটার’ খ্যাত ক্যাথরিন জনসনের জীবনাবসান
- ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
১৯৬২ সালে মার্কিন নভোচারী জন গ্লেন প্রথম মার্কিনি হিসেবে মহাকাশে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন। যাত্রা শুরুর ঠিক আগে বেঁকে বসেন নভোচারী। জন গ্লেন হঠাৎ বলেন মেয়েটি কোথায়? সে যদি বলে যে হিসাব ঠিকঠাক আছে কেবল তাহলেই আমি রওনা দেবো। সেই মেয়েটি ছিলেন ক্যাথরিন জনসন। গণিতে, বিশেষ করে নভোযানের কক্ষপথ হিসাব করায় তার খ্যাতি তখন এতটাই ছিল যে তাকে বলা হচ্ছিল মানব কম্পিউটার। নাসার প্রথম দিককার অনেকগুলো মহাকাশ অভিযানে ফ্লাইট পাথ বা নভোযানের যাত্রাপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ১০১ বছর বয়সে গত ২৪ ফেব্র“য়ারি জীবনাবসান হয়েছে তার। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে জনসন অর্জন করেন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম।
১৯৫৯ সালে ক্যাথরিন জনসন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যার শিরোনাম ছিল ‘পৃথিবী সাপেক্ষে নির্দিষ্ট কোনো অবস্থানে উপগ্রহ বসানোর জন্য অ্যাজিমুথ কোণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া’। ওই গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই নাসার প্রথম দিকের অভিযানগুলোর পথ নির্ধারিত হয়েছিল। ১৯৬১ সালে মহাকাশে প্রথম মার্কিন নভোচারী অ্যালান শেপার্ডকে পাঠানোর অভিযান থেকে শুরু করে প্রায় ৩৩ বছর ধরে জনসনের কাজ মহাকাশ গবেষণার নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
১৯৫৩ সালে ‘ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স (এনএসিএ) যোগদান করেন তিনি। এনএসিএ নামের ওই সংস্থাটিই পরে নাম বদলে হয় ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস এজেন্সি বা নাসা।
কর্মক্ষেত্রে শুরুতেই বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। অন্যান্য কৃষ্ণাঙ্গ নারী গণিতবিদদের জন্য ওই সময়ে পৃথক শাখায় বসতে হতো জনসনকে। কিন্তু তার কাজের জন্য তিনি হয়ে উঠছিলেন সুপরিচিত।
সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে নাসা পরিচালক জিম ব্যাডেনস্টাইন বলেছেন, মহাকাশের জন্য আমাদের দেশের পথ সুগম করতে ভূমিকা রেখেছেন জনসন, নারী ও অন্যান্য বর্ণের মানুষের জন্য দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। তার প্রয়াস ও দক্ষতা মানুষকে চাঁদে যেতে সাহায্য করেছে এবং তারও আগে মহাকাশে যেতে সাহায্য করেছে।
২০১৫ সালে নিজ অবদানের জন্য ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম’ পেয়েছিলেন জনসন। ওই পদকটি অসামরিক মার্কিন নাগরিকদের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান। এরপর, ২০১৭ সালে তাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের একটি ভবনের নাম জনসনের নামে রেখেছে নাসা।
জনসন কে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম’-এ সম্মানিত করার সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, বর্ণ ও লিঙ্গের সীমানা ভেঙে দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে গণিত ও বিজ্ঞানে চাইলেই ভালো করা সম্ভব এবং সাফল্য অর্জন করা সম্ভব তা শিখিয়েছিলেন ক্যাথরিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা