শিক্ষানুরাগী বদিউল আলম
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
মুহাম্মদ বদিউল আলম। ছিলেন রাজনীতিক ও সমাজসেবক। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা ছিল অদম্য। জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৫ এপ্রিল মিরসরাই উপজেলা মুহুরী প্রকল্পসংলগ্ন ইছাখালী ইউনিয়নের হাফিজ গ্রামে। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ফেনী আলীয়া মাদরাসা হতে আলিম, পাঁচলাইশ ওয়াজেদিয়া মাদরাসা থেকে ফাজিল ও চট্টগ্রাম সিটি কলেজ হতে ইন্টারমেডিয়েট পাস করেন। কর্মজীবনে ছিলেন ব্যবসায়ী। সাপ্তাহিক আবেদন পত্রিকার ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। ১৯৮৩-৯৫ সময়কালে চট্টগ্রামের ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।
চট্টগ্রাম শহরের মাদারবাড়ী, ঝাউতলা, চট্টগ্রাম কলেজ রোড ও চান্দগাঁও শমসের পাড়ায় চাঁদমিয়া সওদাগর বাড়ির পাশে নিঃস্ব মানুষের চিকিৎসায় দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভূমিকা পালন করেন, যা আজ চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হিসেবে পূর্ণতা পেয়েছে।
বদিউল আলমের উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে অবদান অসামান্য। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আল জাবের ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজ, জামালখানে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, কাট্টলীতে জামান আনোয়ার ইনস্টিটিউট ও নাসিরাবাদে হযরত আবু হুরায়রা রা: মাদরাসা, হিফজ ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ গ্রামে মাদবরহাট সিনিয়র মাদরাসা, এডুকেশন সেন্টার ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হলো ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও চট্টগ্রামের খ্যতিমান শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তিনি চট্টগ্রাম সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্কটকালে চেয়াম্যানের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালটির অস্তিত্ব রক্ষায় স্মরণীয় ভূমিকা রাখেন।
বদিউল আলম ২০০৯ সালের ১২ জুলাই ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমিন।
লেখক : অধ্যাপক লিয়াকত আখতার ছিদ্দিকী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা