বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব আসবে কিভাবে
- সুরঞ্জন ঘোষ
- ০৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এখন অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দী। তার দল এখনো রাজপথে।
এখন বাতাসে ভাসছে সরকারের কিছু সাবেক এবং বর্তমান কিছু আমলার দুর্নীতির কাহিনী। বর্তমান সরকারের সব অপকর্মের সহযোগী বড় বড় রথী-মহারথীর অপকর্ম এখন প্রকাশ পাচ্ছে। রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের কাণ্ডকারখানা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামানের সম্পদের পাহাড়, সাবেক আইজিপি বেনজীরের দুর্নীতির মহাসাগর এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ক্ষমতার অপব্যবহার ও তার পরিবারের লাগামহীন দুর্নীতির কর্মকাণ্ড এখন গণমাধ্যমের বদৌলতে দেশবাসীর জানা।
গণতান্ত্রিক আদর্শে পরিচালিত রাষ্ট্রে সকল শক্তির উৎস জনগণ। এ ধারণার মধ্যে একটি ইঙ্গিত থাকে যে, একজন রাজনৈতিক নেতার ক্ষমতা ও আধিপত্য একজন নৃপতি বা এক নায়কের তুলনায় কম। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বর্তমান গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব কিভাবে আসবে?
রাষ্ট্র পরিচালনায়, রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধনে ও সামগ্রিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জনগণের অবদান ও গুরুত্ব যত বেশি বাড়বে, সে অনুপাতে নেতৃত্বের গুরুত্ব ও আধিপত্য হ্রাস পাবে- এটি সাধারণভাবে মনে করা হয়। অথচ বাস্তবে আমরা লক্ষ করি একটি জাতির উদ্ভবে, এর স্বাধীনতা অর্জনে, অগ্রগতি ও সাফল্যে, জননেতার প্রভাবে, খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ইতিহাস রচনায় জনসাধারণ প্রায় হারিয়ে যায়। যাদের সাফল্য ও কৃতিত্ব এমনকি যাদের ব্যর্থতা ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্থান পায় এবং যাদের দায়ী করা হয় রাজনৈতিক সাফল্য ও ব্যর্থতায়, তারা আসলে রাজনৈতিক নেতা।
ইতিহাসের ঘটনার আড়ালে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবদান যাতে বড় হয়ে দেখা না দেয়; সেই লক্ষ্যে অনেক পণ্ডিত বিমূর্ত ও ব্যক্তিনিরপেক্ষ নানা ধারণার প্রবর্তন ও প্রচারে উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। যেমন- জাতি, সমাজ, বিপ্লব, প্রগতি, জনগণের ইচ্ছা, কালিক চেতনা, ইতিহাসের ঘটনা ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগের ভেতর দিয়ে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর মূল্যায়নের একটি প্রয়াস লক্ষ করা যায়। ইতিহাসের নিশ্চয়তা বা কার্যকরণের অনিবার্যতায় যারা বিশ^াসী তারা রাজনৈতিক মহান নেতাদেরও ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গণ্য করেন। তাদের মতে, ঘটনাপ্রবাহ ও ইতিহাসের কার্যকারণ সম্পর্কের অনিবার্যতা সময়ের প্রয়োজনে নেতা সৃষ্টি করে- যারা নিছক প্রতীক মাত্র, যা ইতিহাসের বড় ঘটনায় এঁটে দেয়া হয়। কিন্তু মূল ঘটনাপ্রবাহে তাদের প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ নগণ্য। এমনকি মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কোনো নেতার উত্থান-পতন, নির্ধারিত বাজারজাত সামগ্রীর জোগান ও চাহিদা এবং বিনিময় মূল্যের ওঠানামার ফসল।
এসব যুক্তি ও আদর্শবাদ, ব্যক্তি মানুষ ও সাধারণ নাগরিককে গুরুত্ব দিতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে গৌণ করতে চাওয়া হয়েছে বটে; কিন্তু মানুষের সৃজনশীলতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এতে খর্ব হয়েছে। সভ্যতাকে একটি যান্ত্রিক নিশ্চয়তার ও কার্যকারণের ফসলরূপে দেখানো হয়েছে। এঙ্গেলস বলেছিলেন, নেপোলিয়নের অনুপস্থিতিতে আর কেউ তার স্থান দখল করত। টলস্টয়, হার্বার্ট স্পেন্সার এবং এদের অনুসারী অনেকে ইতিহাসের মহান নেতাদের গৌণ করেছেন নানাভাবে। কখনো সাধারণ মানুষের আসন উঁচুতে স্থাপনের যুক্তিতে নেতৃত্বকে গৌণ করা হয়েছে। কখনো ইতিহাসের ঘটনাকে কার্যকারণের অনিবার্য ফসলরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে নেতৃত্বের অবদান ও গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ইতিহাসের সব ঘটনাকে একান্তভাবে কালের ফসলরূপে দেখাতে গিয়ে অগ্রাহ্য করা হয়েছে নেতৃত্বের ভূমিকা।
প্রকৃত বাস্তবতায় নেতৃত্ব হচ্ছে সেই দক্ষতা যা জনগণকে অনুপ্রাণিত করে, সঙ্ঘবদ্ধ করে এবং উদ্দীপিত করে আত্মবিশ^াসে, কর্মতৎপরতা ও সৃজনশীলতায়। নেতৃত্বের মহত্ত্বকে খাটো করে সাধারণ মানুষের আসন উঁচু করা যায় না। কারণ ব্যক্তিমানুষের মধ্যে নিহিত শক্তি আত্মপ্রকাশ করে সার্থক জননেতার ভেতর দিয়ে। সেই নেতৃত্ব পেতে চাইলে আমাদের আজ বড় প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের।
নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা কী হবে? এ প্রশ্ন বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে এখন হাজির। কিন্তু কেন? পৃথিবীতে যেসব দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানে এ প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে, দেশ পরিচালনার অন্য সব দায়িত্বের সাথে এটিও অন্তর্ভুক্ত যে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সেই সরকার পরিচালনা করবে। গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য ও আদর্শের প্রতি বিশ^াস থাকলে এটিও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নির্বাচনে কারচুপি কখনো কোনো যথার্থ রাজনৈতিক দলের দ্বারা ঘটতে পারে না। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব পন্থা ও কর্মসূচি থাকবে, যা সেই দলের গঠনতন্ত্রে প্রতিফলিত থাকে। এ ক্ষেত্রে ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত গতিশীলতা, নমনীয়তা ও পরিবর্তনীয়তা দেয়।
সব রাজনৈতিক দলের কিছু অভিন্ন লক্ষ্য থাকতে হবে, যেখানে দেশের অগ্রগতি, নিরাপত্তা, মূলনীতি ও আদর্শ নিহিত এবং যেখানে রাষ্ট্রবদ্ধ মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্য আবাসন, খাদ্য, যোগাযোগ, বিশ^াস, সংস্কৃতি, বাকস্বাধীনতা, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা সব মিলিয়ে সার্বিক কল্যাণ অন্তর্ভুক্ত। দলীয় ম্যানিফেস্টোতে যে ভিন্নতা ও অভিনবত্ব থাকে তা একটি প্রস্তাবরূপে জনগণের সামনে উপস্থাপিত হয়। এ ভিন্নতা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে তাদের কাজের ধরন কী হবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একরৈখিক নয়; যেখানে একটি জনগোষ্ঠী বিচিত্র সব ভাবনা নিয়ে একত্রে বাস করে গতিশীল ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। চরম বিশৃঙ্খলা ও পরম শৃঙ্খলার মাঝামাঝি অবস্থান করে গণতন্ত্র। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়; যখন যথেচ্ছাচারিতা প্রাধান্য পায়, তখন অভিন্ন মূল্যবোধ ও নীতিমালার ভিন্নতা সমন্বয় করা যায় না। এখানে লক্ষণীয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত হতে পারেনি, তার কারণ হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল। ভিন্ন মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা।
অনেক বিশেষণযুক্ত সরকারব্যবস্থার কথা উচ্চারিত হলেও যে বিষয়টি মৌলিক তা হলো নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচন-উত্তর সরকারের কার্যপরিচালনা থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যক্রম ভিন্ন। এর কারণ হলো, দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির পক্ষে জনগণের সমর্থন নিয়ে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যায়, বাস্তবে তার সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করে সে দলের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর। সেই সাথে প্রস্তাবিত নীতিমালার যথার্থতা যাচাইয়ের ওপর। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি কোনো কর্মপরিকল্পনা থাকে না, যা জনসমর্থিত। ফলে এ ক্রান্তিকালে শুধু দৈনন্দিন কাজ এবং সেসব কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা, যা স্বল্পমেয়াদি অত্যাবশ্যক এবং যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক নেই। এ অর্থে নির্বাচনকালীন সরকারকে যে নামে অভিহিত করা হোক, তা মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈশিষ্ট্যপ্রাপ্ত। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের অন্যান্য সাফল্যের সাথে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন করাও একটি দায়িত্ব। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের প্রতি অন্য রাজনৈতিক দলের অনাস্থা থাকলে তখন প্রকট সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক অনাস্থার বাস্তবতা বিরাজিত। এর বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রাম চলেছে। দেশে বারবার গণতন্ত্রের ট্রেনকে পতিত দশা থেকে স্বাভাবিক লাইনে স্থাপনের চেষ্টা চলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন হচ্ছে ক্রেন দিয়ে সে কাজটি সম্পন্ন করার একটি পথ।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে। এরপর আরো দু’টি নির্বাচন হয়েছে।
কিছু ব্যবস্থা আছে, যা ব্যবহারের ভেতর দিয়ে অর্থাৎ অভিজ্ঞতার আলোকে ক্রমাগত সংশোধিত হয়ে শুদ্ধতর রূপ নেয় ভুলত্রুটি অতিক্রম করে। কিন্তু এমন কিছু ব্যবস্থা আছে, যা আকস্মিকভাবে সূচনা করলে যতটা সাফল্য দেখায়, বারবার ব্যবহারের ভেতর দিয়ে তা ক্রমাগত বেশি করে ত্রুটিপূর্ণ হয়ে ওঠে ধাপে ধাপে অসাধু কৌশল এতে অনুপ্রবেশ করে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এর দৃষ্টান্ত। এর কারণ কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা বা কৌশল উদ্ভাবন করে যখন কোনো কারচুপি বন্ধের চেষ্টা চলে, অপ্রস্তুতির কারণে প্রথম দিকে সেটি যেমন সাফল্য পায়, পরে সময় পেয়ে দুষ্টচক্র দক্ষতর পথ উদ্ভাবন করতে পারে কারচুপির।
সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন যা অনেকটা যান্ত্রিক, যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ, নির্বাচন কমিশন ও জনগণের সততা, প্রজ্ঞা, বিচার শক্তি, ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি। নির্বাচন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের একটি ধাপ মাত্র এবং গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য ও কর্মসূচির তুলনায় অনেক কম গুরুত্বের হয়ে ওঠে যখন গভীরভাবে গণতন্ত্রের অর্থ আমরা উপলব্ধি করি।
নির্বাচনকালীন সরকার কালিক মাত্রায় অতি অল্প পরিসরের; যেমন ঘরের জানালার কাচ স্থানিক মাত্রায় স্বল্প পরিসরের। জানালার কাচ স্বচ্ছ হলে যেমন এটি গুরুত্বহীন মনে হয়, নির্বাচন স্বচ্ছ হলেও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। লক্ষণীয়, জানালার ভেতর দিয়ে যেমন তথ্য পাই বাইরের এলাকা থেকে, নির্বাচনের ভেতর দিয়ে জনমতের তথ্য পাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে। নির্দলীয় ও সর্বদলীয় সরকারের মধ্যে তুলনা টানতে গিয়ে প্রথমে যেটি স্মর্তব্য, তা হলো দুটো ব্যবস্থা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে এ অর্থে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুধু নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তত্ত্বাবধান করবে এবং দৈনন্দিন স্বল্পমেয়াদি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করবে। পার্থক্য হলো, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় রাজনীতিবিদদের অনির্ভরযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট বিবেচনা করে নির্বাচনের সব আয়োজন থেকে তাদের বাইরে রাখার চেষ্টা চলে। কথিত কিছু সৎ, নিরপেক্ষ, নির্লোভ, অরাজনৈতিক মানুষকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। অন্য দিকে সর্বদলীয় সরকারব্যবস্থায় রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা এবং সম্মান দেখিয়ে রাজনীতিবিদদের সক্রিয়তা, অভিজ্ঞতা, একত্রে কাজ করা ও সমস্যা সমাধানের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদ ও পরিকল্পনা নিয়ে কিভাবে একত্রে কাজ করবে? এর জবাবে বলা যায়, প্রকৃত রাজনৈতিক দল যেগুলো, তাদের একটি অভিন্ন লক্ষ্য থাকতে হবে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধে, যা বিধৃত দেশের সংবিধানে। নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচন-উত্তর সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব কর্মপন্থা ও কর্মসূচি জনসমক্ষে তুলে ধরবে। এ ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য গণতন্ত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য, কিন্তু দেশ নিয়ে যে ঐক্য অপরিহার্য উন্নয়নে অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছায় তা নির্বাচনকালে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যার একটি বড় কারণ ভুঁইফোড় রাজনীতিবিদদের আবির্ভাব, যা ঘটেছে নানা রাজনৈতিক দুর্ঘটনার ভেতর দিয়ে। তাই রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের প্রতি অবিশ^াস এবং অনাস্থা দূর করা প্রয়োজন। এ জন্য রাজনীতির সংস্কৃতি অত্যন্ত প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের আস্থাবান হতে হবে জনগণের কাছে; জনতার বিচারমূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে। এ জন্য তাদের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দিতে হবে দক্ষতা প্রমাণের। এ ক্রান্তিলগ্নে সেটি ঘটতে পারে একটি ভারসাম্য সৃষ্টি করে। সেটি নিষ্ক্রিয়তা নয়, সক্রিয়তায়। এ ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সরকার নির্বাচনকালে কার্যকর করা সবচেয়ে বাস্তবভিত্তিক একটি প্রস্তাব। সবচেয়ে বড় কথা, সর্বদলীয় সরকার সংবিধানের মধ্যে থেকে গঠন করা সম্ভব, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল উদ্দেশ্য রক্ষা করেও রাজনীতিবিদদের প্রতি অবিশ^াস ও অনাস্থা দূর করতে পারে।
লেখক : সভাপতি : সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা