২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রস্তাবিত বাজেটের হাল হকিকত

-

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এবারের বাজেট আসলে তিনটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। একটা আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে যে পর্যায়ে আছে। আমরা এখন আইএমএফের সংস্কার শর্ত পূরণ বা পালন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুুদ্ধের কারণে সৃষ্ট প্রভাব, দেশে ডলারের সংকট, করোনার উত্তর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেটের প্রাধান্য, নির্বাচনী বছর হওয়ায় দুর্নীতি, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপে অপারগ পরিস্থিতি। বিভিন্ন কারণে আসলে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেসব সঙ্কট বা সমস্যা আছে সেগুলো চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ আমাদের ২০২৬ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হবার বা উন্নয়নশীল দেশ হবার যে কার্যসূচিতে আছি, সেটা অর্জন করতে হবে এবং আমরা এসডিজি গোল বাস্তবায়নের পথে আছি, ২০৩০ না হলেও হয়তো কিছুটা পেছাবে। কারণ করোনার কারণে ওটা পিছিয়ে গেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির যেগুলো অভীষ্ট তার ভেতর যেগুলো আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ে ব্যবহৃত সেগুলোতে অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। এই দুটো বিষয়ের কারণে ২০২৪-২৫ এর বাজেট এবং আগামী বছর নির্বাচন হওয়ায় ২০২৩-২৪ বাজেটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুই হচ্ছে আমাদের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স কম আসছে। আমদানি-রফতানি বেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে থাকছে। এসব কারণে অর্থনীতি গতিশীল করতে হলে আমাদের বাজেটারি অ্যালোকেশনে মেজর কী কন্ট্রোল করা যায়, সেটাই এবারের বাজেটের কাছে প্রত্যাশা বেশি। তৃতীয়ত হলো, মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতিকেই এখন এক নম্বর এজেন্ডা ভাবা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি যদি ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ বা প্রশমন করা না যায়, তাহলে অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুতরাং দ্রব্যমূল্য স্ফীতির ব্যাপারটাকে কর্তৃপক্ষসহ সবাই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
সম্পদ কমিটির বাজেটের আকার নির্ধারণ করে দেয়া থেকে শুরু করে প্রায় সব বিষয় বা নিউজ মিডিয়ায় এসে গিয়েছিল, গত ১ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে তাই আছে। তার ভিত্তিতে এই যে আলোচনা হচ্ছে এটা ভালো। কারণ খোলামেলা আলোচনার স্কোপগুলো ইদানীংকালে খুব কমে গেছে। আগেকার অর্থমন্ত্রীরা অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে, সংসদ সদস্যদের সঙ্গে একেবারে কিস্তি ধরে ধরে আলোচনা করতেন এবং খুব মুখ্য বা সরাসরি সভায় এসে আলোচনা করতেন। আলোচনা করে তারা নোট নিতেন, আলোচকরাও বুঝতেন যে তাদের কথা শোনা হচ্ছে। তবে বর্তমানে লক্ষণীয় যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইদানীং সরাসরি এরকম কোনো প্রকাশ্য আলোচনা করতে পারেননি, গতবারও হয়তো সেভাবে হয়নি। সুতরাং এই দিকটাতেও একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে এবং আলোচনার ক্ষেত্রগুলো সীমিত হয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাজেটের কিছু কিছু ট্রিক এবং টিট বিটস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই সময়ে বাজেটের ওপর এই আলোচনা কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় থাকবে বাজেট পেশ করলেই তো পাস হবে না, কথা হবে, সংসদে ৪০ ঘণ্টা আলোচনা হবে। তখন এসব আলোচনা যদি গুরুত্ব পায় তাহলে সেটা ইতিবাচক হবে।

কর রাজস্ব খাতে ঘোষিত কয়েকটি বিষয় নীতিনির্ধারক ও বাজেট প্রণেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে বাজেটের আকার। মানুষকে করের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনের যে চাপ, সে চাপ দিলেও হতো না দিলেও হতো, এর আগে থেকেও চাপ ছিলো, আমাদের নিজেদের আন্তঃসমালোচনার মধ্যেও এটা আছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কর দেয় না, যারা ‘টিন’ খুলেছে তাদেরও উল্লেখযোগ্য অংশ ট্যাক্স দেয় না। এই সমস্যা অ্যাড্রেস করার জন্য দুই তিনটা উপায় বেরিয়ে আসছে। যেমন আগে যারা শূন্য কর দিয়ে রিটার্ন সাবমিট করত, এবার প্রত্যেকেরই ন্যূনতম ২ হাজার টাকা দিয়ে কর সনদ নিতে হবে এবং সেই সনদ নিয়ে তারা বিভিন্ন সরকারি সেবা নিতে পারবে, যেখানে তাদের ওই সনদ দেখানো দরকার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই ব্যবস্থা নেই। কারণ সেখানে সবকিছুই অনলাইন, কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে হয় না, সিস্টেমে গেলে বিস্তারিত দেখায় যে এই ব্যক্তি ট্যাক্স দেয় কিনা বা কত দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেই ডেটাবেজ গড়ে ওঠেনি এবং অনেকেই কর দেয় না। ওই কারণে ধরাধরির জন্যই একটা উপায় হিসাবে গতবার বা তার আগের বার থেকে ভাবা হয়েছে সরকারি ৩৮টা পণ্য বা সেবা নিতে গেলে আয়কর সনদ দেখাতে হবে। এনবিআর মনে করে এটা করার ফলে তাদের বেশকিছু নতুন করদাতা যুক্ত হয়েছে। কারণ তাদের বিভিন্ন সার্ভিস নিতে গেলে করদাতা সনদ দেখাতে হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও শোনা যাচ্ছে যে এই সনদ নেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে। তো এজন্য ওই ৩৮টা খাতের সঙ্গে নতুন কিছু খাত জুড়ে দেয়া হয়েছে যেগুলোতে রিটার্ন দেখাতে হবে।

নতুন করদাতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই শূন্য করের পরিবর্তে ২০০০ টাকা দিয়ে রিটার্ন দেয়ার কথা হয়ত ভাবা হচ্ছে। এখন এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় হচ্ছে এই যে করদাতাকে চাপাচাপি করে করদাতা বানালে সেই করদাতাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন করার সক্ষমতা, লোকবল বা সিস্টেম গড়ে তুলতে এনবিআরের প্রশাসনিক কাজ বাড়বে, আর ২০০০ টাকা কর দিতে অনেক করদাতার বাড়তি কিছু সমস্যার সৃষ্টি হবে। এই পরিস্থিতিরই সহজ সমাধান হচ্ছে সব কাজ বাদ দিয়ে যেভাবেই হোক অনলাইনেই কাজটি শেষ করা। সব অনলাইনের মধ্যে আনতে পারলে, এমআইএস ও ডেটাবেজ গড়ে তুলতে পারলে তখন আর এই সমস্যা হবে না। জনে জনে ফাইল দেখত হবে না। তখন এনবিআর তাদের বর্তমান লোকবলকে ইন্টেলেকচুয়াল কাজে লাগাতে পারবে এবং বাড়তি লোকবলও প্রয়োজন হবে না। যাচাই করতে সমস্যা হবে না, কোনো ব্যক্তি করের বাইরেও থাকবে না। আমরা যদি এনআইডি ধরে সার্চ করি তখন ওখানে অটোমেটিক প্রশ্ন আসবে যে আপনার তো করের তথ্য নেই। এটা ম্যান্ডেটরি, দিতেই হবে, তাহলেই আপনি পরবর্তী কাজ করতে পারবেন। এই সিস্টেমটা বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই আছে। সুতরাং এ কথা ঠিক নতুন নতুন ভাবনা সমস্যার সৃষ্টি করে, মানুষকে ত্যক্তবিরক্ত করে। করের আওতায় আনা বা করদাতা বানানোর চেয়ে সহজ সমাধানের পথ হলো অনলাইন ব্যবস্থাগুলোকে জোরদার করা। ভ্যাট অনলাইনে দেয়ার জন্য যে মেশিনগুলো দরকার, মেশিনগুলো দেয়ার ব্যপারে শোনা যাচ্ছে প্রাইভেট সেক্টরকে দিয়ে দেবে এই পুরো কাজ। মেশিনও তারা সাপ্লাই দেবে, ভ্যাটও তারা সংগ্রহ করে দেবে। আদায়কৃত ভ্যাট থেকে তারা একটা কমিশন পাবে। এগুলোর জন্য আইনগত অনেক জটিলতাও সৃষ্টি হতে পারে। আশা করা যায়, তারা এগুলো দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন। ভ্যাট, আয়কর বা শুল্ক আদায়ের জন্য অথরাইজড অফিসার থাকেন, তাদের পাওয়ার থাকে। আয়কর আইনের মধ্যে তাদের জন্য অথরাইজেশন দেয়া থাকে। এখন বাইরের লোককে এই কাজ দিতে গেলে তার এখতিয়ার, জুরিসডিকশান সম্পর্কিত কোনো আইনি জটিলতা যাতে সৃষ্টি না হয় আশা করি সেই বিষয়টি ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আরেকটা হচ্ছে যে তারা এগুলো করতে গিয়ে, টাকা-পয়সা আদায় করতে গিয়ে তৃতীয়পক্ষকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কিনা আশা করি সেটাও কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
নয়া বাজেটের মোট আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ডলার সঙ্কট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর বিপরীতে দেয়া শর্ত পরিপালন করতে গিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়াতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। ব্যাংক, আর্থিক ও রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার আনতে হচ্ছে; প্রতি বছর ০.৫ শতাংশ হারে করদাতা বাড়াতে হবে। স্পষ্ট যে বাজেটের অর্থের জোগান পেতে সরকার আগের চেয়ে বেশি ব্যাংকমুখী হবে। আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে সরকার চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ চলতি বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি বাড়বে। এটা সবার জানা যে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে সরকার বেশি ঋণ নিলে তার প্রভাব পড়ে মূল্যস্ফীতিতে। কারণ, ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে ঋণের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ টাকা ছাপিয়ে মেটাতে হয়। টাকা ছাপালে তখন বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায় এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ে। এর ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় কর্মসংস্থান ব্যবস্থা। প্রতিবারই অর্থবছরের শেষ দিকে সরকারের ব্যাংকঋণ নেওয়া বাড়ে। বিশেষ করে জুন মাসে। চলতি অর্থবছরেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। আগের অর্থবছরে ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নিয়েছিল ১৩ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। একই সময়ে চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে হয় ৩৯ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এদিকে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি প্রায় নেতিবাচক। অথচ চলতি অর্থবছরে ধরা হয়েছিল এ খাত থেকে নিট ৩৫ হাজার কোটি টাকা আসবে। চলতি বছরের সংশোধিত বাজেটে তার পরও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির নেতিবাচক চিত্রের কারণে জুন শেষে ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

দেশে মূল্যস্ফীতির হার গত এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থবছর শুরুর দুই মাসের মাথায় গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। যা হোক, মূল্যস্ফীতি যেখানে গিয়ে ঠেকুক না কেন, অর্থের প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংক ঋণের কোনো বিকল্প আগেও ছিল না, চলতি অর্থবছরেও নেই, আগামী অর্থবছরেও থাকবে না।
শুধু তাই নয়, আর মাত্র ছয় মাস পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বহুমুখী চাপের মুখে এ নির্বাচন সামনে রেখে জনগণকে সামান্য হলেও স্বস্তি দিতে চাওয়ার জন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বহুরকম নির্বাচনী কর্মসূচি আছে এ বাজেটে। এ বছর যেখানে বিদ্যমান (ডিসেম্বর পর্যন্ত) এবং নব নির্বাচিত (জানুয়ারি-জুন) সরকার বাজেট বাস্তবায়নে থাকবে এতসব প্রতিশ্রুত কর্মসূচি বাস্তবায়নের হাল হকিকত কি দাঁড়াবে তা আমজনতার বোধগম্যের মধ্যে আসছে না।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার। বিশাল আকারের রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে বাড়াতে হবে করের আওতা। করযোগ্য মানুষকে করের আওতায় আনার সুষ্ঠু পরিকল্পনার পরিবর্তে নিন্ম আয়ের মানুষকেও করের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হবে অযৌক্তিক।
শতবর্ষী ঔপনিবেশিক আয়কর আইন একবাক্যে নতুন আইন হিসেবে পাওয়ার আভাস মিলছে। (বাজেট বক্তৃতা, অনুচ্ছেদ ২৪৪) আশা করা যায় অতি গুরুত্বপূর্ণ আয়কর আইন যথাযথ জনমত যাচাই বাছাইয়ের এবং আইনপ্রণেতারা তাদের পক্ষ থেকে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার সাথে এটি গৃহীত হবে। আশঙ্কা থাকবে না, যদি এটি ২০১২ সালের নতুন ভ্যাট আইনের মতো জন্মিয়াই প্রবর্তনে বিলম্ব ও ব্যাপক পরিবর্তনের অথবা আজীবন নিবর্তন কিংবা পারস্পরিক দোষারোপের খোঁটা খাওয়ার ভাগ্য বরণ না করে।
লেখক : উন্নয়ন-অর্থনীতির বিশ্লেষক


আরো সংবাদ



premium cement
সিলেট সীমান্তে ৬৩ লাখ টাকার চোরাই পণ্যসহ আটক ২ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ করা হবে অবসরপ্রাপ্তদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ মৃত্যু : ভাংচুর পুরান ঢাকার ২ কলেজে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের লেনদেন স্থগিত সাগর থেকে টুনা মাছ আহরণে সহযোগিতা দেবে মালদ্বীপ সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কেন আলোচনায় ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে কেএনএ’র গোপন আস্তানার সন্ধান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত গাজীপুরে আরো এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান রাজশাহীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন

সকল