২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আইনের পোশাকে বেআইনি আচরণ

-

সমাজে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত ও পরস্পর নানান বিষয়ে প্রতিযোগিতা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। জমিজমা, আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার পালাবদল কিংবা সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তিকে কেন্দ্র করে মানুষ এক অপরের সাথে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতে লিপ্ত হয়। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমাজ পরিবারে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত বিদ্যমান আছে বলে দেশে আইন-আদালত আছে। সমাজে কোনো একজন অপর একজন ব্যক্তি, পরিবার কিংবা গোষ্ঠী কর্তৃক আর্থিক কিংবা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিষয়টি সুরাহার জন্য স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। সমাজপতিদের ফায়সালায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল ব্যক্তিদের মতো বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্ষমতার দাপট কিংবা প্রতিপক্ষের সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তি থাকায় সত্য ঘটনাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যায়। প্রভাবশালীদের কেউ কেউ অনৈতিক অপকর্ম কিংবা খুন খারাবির মতো অন্যায় কাজ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফলে দুর্বল ব্যক্তিদের শেষ ভরসা আদালত। যে দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সুপ্রতিষ্ঠিত সে দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। আধুনিক সভ্যতার যুগে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আইন ও বিধান গড়ে উঠেছে। যারা বিচারকার্য সম্পন্ন করেন তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন না হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বিচারকরা বিবেকের কাছে জবাবদিহিতা করেন, কোনো ব্যক্তির কাছে নয়। এর ব্যত্যয় হলে ন্যায়বিচারে বিঘœ ঘটে।
আইনের চোখে সবাই সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা আইনের রক্ষক তাদেরও আইন মানতে হয়। আইনের পোশাক পরে বেআইনি কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে এবং নিজের কর্তৃত্বের জন্য যা-ইচ্ছা তাই করতে থাকে, তখন তার বেপরোয়া অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। সমাজে এ ধরনের পরিস্থিতি অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালত আছে।
কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিদ্বেষবশত কোনো বিষয়ে ফায়সালা দেয়া কিংবা সাক্ষ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি করা যাবে না। স্বজনপ্রীতি দুর্নীতির একটি অংশ এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থী কাজ। সমাজে বসবাসরত একজন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত একটি রাজনীতিনিরপেক্ষ জায়গা। বিচারালয় তাই চোখ বন্ধ রেখে ন্যায়দণ্ড ধারণের অঙ্গীকারে আবদ্ধ একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। নিরপেক্ষতার শপথ নিয়ে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারকাজ নিষ্পন্ন করেন বিচারকরা। কিন্তু বিচারকরা যে আইনের ভিত্তিতে বিচার করেন, সে আইন তৈরি করেন রাজনীতিবিদরাই এবং কাউকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়েরও পুরোপুরি বস্তুনিষ্ঠ ও রাজনীতিনিরপেক্ষ- কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা হলফ করে বলা যায় না। আবার বিচারকরা রক্ত-মাংসে গড়া মানুষ, তাদের চোখ-কান সবসময় খোলা থাকে, বাইরের প্রবহমান আলো-বাতাস ও চাপ-তাপ তাদেরও প্রভাবিত করে। কারণ তাদেরও আবেগ, অনুরাগ, রাগ-বিরাগ, নানা মানবিক দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ বিচারকদের ন্যায়পরায়ণতা, বিচারবোধ, সততা, সৎসাহস ও সুগভীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার ওপর নিঃশর্ত বিশ্বাস স্থাপন করে থাকে। আদালতে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো কখনো আইনজীবীদের সাথে বিচারকের ‘মতভিন্নতা’ হতেই পারে। তাই বলে কোনো বিচারক আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে পারেন না। ওই বিচারক তেমন কিছু করে থাকলে বিচার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তা আমলে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালতের ভেতরে আইনজীবীরা যেভাবে বিচারককে গালিগালাজ ও তার সাথে অশালীন ব্যবহার করলেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনজীবী সমিতির সভাপতি, যিনি আবার ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতাও বটে, ভিডিও ফুটেজে তার আচরণ ও কথাবার্তা দেখে মনে হলো- এ যেন জোর যার মুল্লুøুক তার। অবাক কাণ্ড হলো- এজলাসের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তারা গোটা বিষয়টি চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন। পুলিশের কাছে বিচারক সহায়তা চেয়েও পাননি। তাহলে এখানে বিচারকের নিরাপত্তা কোথায়? যেখানে একজন আইনজীবী নিজের বিচারক আসনে বসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। সেখানে সাধারণ জনগণ কোথায় যাবে?
নানা কারণে বিচার বিভাগ ও আদালতের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসা দিন দিন কমছে। এই আস্থা ও ভরসা ফিরিয়ে আনতে বিচারক ও আইনজীবীদের ইতিবাচক ভূমিকা রাখা উচিত। কিন্তু বিচারক ও আইনজীবীরা যদি নিজেরাই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন, সে আশার গুড়েবালি। সারা দেশের মতো আদালতও যদি জোর যার মুল্লুøুক তার নীতিতে চলে, সেটি বিচার বিভাগের ভাবমর্যাদার জন্য খুবই আশঙ্কার। মানুষ সামাজিক জীব; তাই মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করার পর থেকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে থাকে। মহাগ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ভুল ঐশী গ্রন্থ। এর মাধ্যমে আবির্ভূত ধর্ম ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মানুষের অধিকার বা মানবাধিকারকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিচারপ্রার্থী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি উভয়কে লাঞ্ছনা ও অবমাননাকর অবস্থায় বিচার ও কৃপা প্রার্থনা থেকে উত্তরণের পথে যুগান্তকারী ভূমিকার রাখে আদালত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘সমবায় নীতি’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘দেশে টাকার অভাব আছে বলিলে সবটা বলা হয় না। আসল কথা, আমাদের দেশে ভরসার অভাব।’ সত্যিকারভাবেই আজ আমাদের দেশে আশা-ভরসার যেন আকাল পড়েছে। এই আকাল সর্বব্যাপী। এটি দৃশ্যমান সর্বত্র ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে। গত ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের অশোভন আচরণ উদ্বেগজনক। ওই ঘটনা সভ্যতার সব সীমা অতিক্রম করেছে।
এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।

বিচারকের সাথে আইনজীবীদের অশোভন আচরণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে তোলপাড় হয়েছে সারা দেশ ও বিচার বিভাগ। ১ জানুয়ারির ঘটনার পর এখনো শতভাগ স্বাভাবিক হয়নি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের কার্যক্রম। কয়েক দিন ধরে পত্র-পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে আদালত বর্জনের খবর। বিচারকের প্রতি অনাস্থা আর কটু মন্তব্যের খবর। মাঝে মধ্যেই একশ্রেণীর আইনজীবীর রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের খবর আসে। আদালতে অচলাবস্থার কারণে বিচারপ্রার্থীরা নিরাশ হয়ে ফিরে যান। এখানে যেন সবাই জিম্মি, কেউ কোনো কিছুর জিম্মাদার নয়।
জেলাপর্যায়ের আদালতগুলোতে রাজনৈতিক আহ্লাদ পাওয়া কিছু আইনজীবীর ‘কুছ পরোয়া নেহি’ আচরণ নতুন কিছু নয়। ধরাকে শুধু সরাজ্ঞান নয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা ভূমণ্ডলকে কলসির ভাঙা টুকরা বা খাপরারও অধম মনে করছেন। সাধক কবি হাফিজের সেই অমোঘ কাব্যের উক্তি- ‘অ্যায়সা দিন নেহি রহেগা’ কথাটি আমাদের মনে থাকে না।
হাইকোর্টে হাজির হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারিসহ তিনজন। এরপর শুরু হয় শুনানি। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়েছে, এ আগুন না থামালে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বিচার বিভাগ।’ দেশের সব নাগরিকই আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সমানভাবে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার দিতে হবে। মানুষ যখন তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় কিংবা অন্যের দ্বারা অত্যাচারের শিকার হয় তখন আবশ্যিকভাবে আইনের আশ্রয় লাভ করা ব্যতীত তার জন্য আর কোনো রাস্তা খোলা থাকে না। এমতাবস্থায় আপনি আইনের আশ্রয় লাভ করে আইনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতে আপনাকে আইনি প্রতিকার দেয়ার জন্য একমাত্র যিনি লড়াই করবেন তিনি হচ্ছেন আইনজীবী বা উকিল। তাহলে আপনি আপনার কাক্সিক্ষত প্রতিকারের জন্য সরাসরি একজন ন্যায়পর আইনজীবীর শরণাপন্ন হওয়াই আপনার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম ধাপ ধরে নিতে পারেন। আইন পেশার অতীত ইতহাস যেহেতু অনেক সমৃদ্ধ সেহেতু আইনজীবীদের অতীত ইতিহাস আরো উজ্জ্বল। বর্তমানে আইনাঙ্গনে ন্যায়পর আইনজীবী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কেননা, এই পেশায় অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাওয়ার ভাব এসেছে, এসেছে সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কায়দা-কানুন। ভালো আইনজীবী যে নেই তা নয়- অবশ্যই আছে। কিন্তু আপনাকে কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে। আপনার এই কষ্টটাই আপনাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে সহায়তা করবে বৈকি। মনে রাখবেন, আইনজানা ভালো আইনজীবীরা কখনো টাউট দালাল লালন করেন না।’

এর আগে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠানো বিচারকের অভিযোগ বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারকের সাথে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে গত ৬ জানুয়ারি বিবৃতি দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে বলা হয়েছে, কিছু আইনজীবী এজলাসকক্ষে বেআইনিভাবে বিচারিক কাজে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। একই সাথে তারা বিচারকের সাথে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ করছেন, যা অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণœœ হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের নিন্দনীয় ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়। আদালত সর্বোচ্চ জায়গা, এখানে কারো খবরদারি চলবে না। সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গণমুখী, মজবুত ও সুসংহতকরণে আদালতের গুরুত্ব অত্যধিক। প্রশাসনিক প্রতিটি বিষয় আদল ও সুবিচারের সাথে ফায়সালা করতে হবে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় আদল বা ইনসাফের পরিপন্থী কাজ হলে সে প্রশাসনের প্রতি গণমানুষের আস্থা লোপ পায়। এতে গণ-অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। শাসক ও শাসিতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক শৃঙ্খলা শিথিল হয়ে পড়ে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে যায়। তাই প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আদালতের গুরুত্ব অপরিসীম।
‘কোনো অন্যায় দাবির কাছে মাথানত করা যাবে না। কোনো বিচারকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন জেলায় আদালতের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজমান হতাশা-নিরাশা ব্যাপক হারে দেখা দেয়।
tafazzalh59@gmail. com


আরো সংবাদ



premium cement