২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শিক্ষা সংস্কার কমিশন চাই

-

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর প্রচলিত রাষ্ট্রকাঠামো ঠিক রেখে খুব ধীর গতিতে সংস্কারের লক্ষ্যে সেক্টরভিত্তিক ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যে লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী এই বিপ্লব সংগঠিত করেছেন, অগণিত জীবনদানের বিনিময়ে সফল করেছেন তাদের শিক্ষা-সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। যাদের আন্দোলনের ফসল এই সফল বিপ্লব এবং এর সরকার সেসব শিক্ষার্থীর মূল বিষয় শিক্ষাব্যবস্থাটাই অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। এটি সত্যিই পরিতাপের বিষয়। অথচ বিগত ১৬ বছরে ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামী সংস্কৃতি সমূলে উৎপাটিত করে নাস্তিকতা ও বিধর্মীয় সংস্কৃতি প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সিলেবাস ও কারিকুলামে পরিবর্তন এনে একে লাগসই ও যুগোপযোগী করা হবে। কিন্তু কারা কিভাবে এ পরিবর্তন আনবেন তার কোনো নমুনা এখনো দৃশ্যমান নয়। একটি অভিজ্ঞ শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ ছাড়া এ ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার কিভাবে সম্ভব তা বোধগম্য নয়।
বলা হয়ে থাকে, শিক্ষাই একটি জাতির উন্নয়ন ও প্রগতির মূল ভিত্তি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এত জটিল ও বহুধাবিভক্ত, যা অন্য কোনো দেশের সাথে তুলনীয় নয়। একনজরে আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রের বর্তমান চিত্রটি দেখে নেয়া যাক।
১. সাধারণ শিক্ষা : প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও আলিম শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম পর্যায়। স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর ও ফাজিল থেকে কামিল এমফিল ও পিএইচডি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়। এই দু’টি পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনিক ও সংযুক্ত দফতরের সংখ্যা অনেক ও বিচিত্র।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। পক্ষান্তরে, বেসরকারি দাখিল ও আলিম মাদরাসার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাদরাসা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন।
দেশে কিছু বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল আছে, যাদেরকে সরকার বেতন দেয় না। বেশ কিছু বেসরকারি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা আছে।
ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিছু স্কুল আছে সরকারি, যেমন- জেলা স্কুল। দেশের বেশির ভাগ মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসা ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ বেসরকারি। এগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে মাসিক চুক্তিতে সরকার বেতন দেয়; যাকে এমপিও বলে। এই পর্যায়ের শিক্ষকদের ও নির্দিষ্ট কিছু কর্মচারীর নিয়োগ একটি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়ে থাকে। এই স্তরের পাঠ্যসূচি ও পাঠক্রম প্রস্তুত ও চালু করবার দায়িত্ব পালন করে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এ দিকে আলিয়া মাদরাসার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণী থেকে দাখিল অথবা আলিম পর্যন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে মাদরাসা বোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার আলিয়া মাদরাসা সম্পূর্ণ সরকারি। এ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ রয়েছে যেগুলো শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়েও এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। কিছু সংখ্যক ইবতেদায়ি মাদরাসা অবশ্য এমপিওভুক্ত।
বর্ণিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণ বাংলায় হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনেও পাঠদান ও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। হালে ক্যাডেট মাদরাসা নামে একধরনের মাদরাসা চালু হয়েছে, যেগুলোর কারিকুলাম বাংলা ইংরেজি ও আরবির মিশেল।
২. কওমি মাদরাসা : কওমি মাদরাসা মূলত ব্রিটিশ আমলে কাসেম নানতুবি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দেওবন্দ মাদরাসার উত্তরাধিকার। এর কারিকুলাম দেওবন্দ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। কিছু সংস্কার করে বর্তমানে এর পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কওমি মাদরাসা সারা দেশে ছড়িয়ে আছে।
বিগত আওয়ামী সরকার ২০১৩ সালে হেফাজতের গণহত্যার পর এদের দাওরায়ে হাদিস সনদকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানে এই কওমি ধারার শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান। কওমি মাদরাসা পরিচালনার জন্য নিজস্ব বেসরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় : বাংলাদেশে ছয় ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সরকারি-বেসরকারি, জাতীয় ও উন্মুক্ত- এই চার ধরনের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও শিক্ষা কারিকুলাম ভিন্ন এবং এগুলো সাধারণ শিক্ষার আওতাভুক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আংশিক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে।
দেশে দুই ধরনের কলেজ রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। এগুলো আবার সরকারি ও বেসরকারি দুই ভাগে বিভক্ত। কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক স্তর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আর ডিগ্রি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ। আর অল্প কয়েকটি কলেজ আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এসব কলেজ-প্রশাসন দ্বৈত শাসনের নিগড়ে আটকে আছে। এক দিকে শিক্ষা বোর্ড ও মাউশি অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট ও গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উন্নয়নের দিকটি দেখভাল করে। প্রশাসন ও কারিকুলাম সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এখতিয়ারে।
দেশের একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়টি মেডিক্যাল কলেজগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে। নিজের নিয়মিত শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা প্রদান ও গবেষণার সুযোগ করে দেয়। প্রতিটি জেলায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর পাশাপাশি রাজধানী ও দেশের অন্যান্য স্থানে প্রচুর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে। সরকারি ডেন্টাল কলেজের পাশাপাশি বর্তমানে অনেক প্রাইভেট ডেন্টাল কলেজ গড়ে উঠেছে। দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধিকাংশ টেকনিক্যাল বিষয়ে পাঠদান করে থাকে। উন্মুুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়মিত বা চাকরিজীবীদের জন্য খণ্ডকালীন শিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে।
৪. অন্যান্য : অন্যান্য শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে, যা অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করা যেতে পারে।
ক্যাডেট কলেজ : সেনা ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সাধারণ কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সংস্থা : ট্রাস্ট, মিশনারি, সেনা, বিমান, নৌবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ আরো কিছু সংস্থার নিজস্ব পরিচালনায় ও নিজস্ব অর্থে বেশ কিছু স্কুল-কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষা কারিকুলামে শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। তবে সংস্থার নিজস্ব কমিটি দ্বারা এগুলো পরিচালিত। বাদবাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিং বডি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ড ও স্নাতকপর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়।
নূরানি : দেশে হাল আমলে নূরানি নামক এক ধরনের মাদরাসা চালু হয়েছে, যার আলাদা বেসরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। এগুলোর কারিকুলাম ওই সংস্থা ঠিক করে। ধর্মীয় বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত নূরানি মাদরাসায় পাঠ দান করা হয়।
নার্সারি : নার্সারি সম্পর্কে আমরা কমবেশি অবহিত। প্রাইভেট উদ্যোগে পরিচালিত এসব স্কুলে প্রাইমারি ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ানো হয় এবং প্রধানত ইংরেজির ওপর জোর দেয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডের পাঠদানের অনুমতি এদের নেই।
ইংলিশ মিডিয়াম : ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির কারিকুলামে ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেলের সম্পূর্ণ প্রোগ্রামই ইংরেজি মাধ্যমে চলে।
এখান থেকে বের হয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে এবং ওই সব দেশে চাকরি জুটিয়ে নেয়।
হাফিজিয়া মাদরাসা : সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও অনুমান করা চলে বাংলাদেশে লাখ লাখ কুরআনের হাফেজ আছেন। হাফিজিয়া মাদরাসা আলাদাও আছে, আবার আলিয়া ও কওমি উভয় শ্রেণীর মাদরাসার সাথে সংযুক্ত আকারেও আছে। হেফজ শেষ করে এরা যেকোনো মাদরাসায় ভর্তি হয়।
মহিলা মাদরাসা : ইদানীং দেশে অনেক মহিলা মাদরাসা গড়ে উঠেছে। এগুলো হাফিজিয়া, কওমি ও আলিয়া- সব ধরনেরই আছে।
টেকনিক্যাল : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশে অনেক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। উদ্দেশ্য টেকনিক্যাল মানবসম্পদ জোগান দেয়া। এই টেকনিক্যাল ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রভৃতি। দেশে বর্তমানে অনেক প্রাইভেট টেকনিক্যাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে।
ট্রেনিং ইনস্টিটিউট : শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। উচ্চতর ট্রেনিংয়ের জন্য আছে বিএড ও এমএড।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদফতর বয়স্ক ও বেকারদের জন্য নানা ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে।
ব্র্যাক স্কুল : ব্র্যাক তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে। এখানে সাধারণ শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।
পথকলি : পথকলি ট্রাস্ট কর্তৃক ছিন্নমূল শিশুদের পড়াশোনারও একটি প্রোগ্রাম দেশে চালু আছে।
মিলিটারি একাডেমি : প্রতিরক্ষা বাহিনীর ক্যাডেটরা উচ্চমাধ্যমিক পাস করে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে ভতির্ হয়। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে অবস্থিত মিলিটারি একাডেমিতে দুই বছর কোর্স শেষ করে পাসিং অডিটের মাধ্যমে তাদেরকে কমিশন দেয়া হয়।
স্টাফ কলেজ : প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উচ্চতর পদে প্রমোশনের যোগ্যতা অর্জনের জন্য স্টাফ কলেজে নিয়মিত কোর্স করা বাধ্যতামূলক। স্টাফ কলেজে উচ্চতর শিক্ষা দেয়া হয়। পুলিশেরও নিজস্ব স্টাফ কলেজ রয়েছে।
উপরের আলোচনা থেকে আমাদের শিক্ষার বিচিত্র চিত্রটি স্পষ্ট।
শিক্ষার দু’টি স্তর, নার্সারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত এবং স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত গঠনগত দিক ও পাঠক্রমের দিক, উভয় দিক থেকেই ব্যাপক ত্রুটিযুক্ত।
সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা হিসেবে শুধু এটুকু বলা যায়, উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত একীভূত ব্যবস্থার আওতায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সব প্রধান বিষয় থাকবে। উচ্চতর শিক্ষার ভিত্তি হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর ব্যবহৃত হবে। হাফেজদের পাঠ শেষ করে এই শিক্ষার প্রাথমিক অথবা মাধ্যমিক স্তরে একটি শর্ট কোর্স করে ভর্তি করে নিতে হবে।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ, প্রকৌশল, মেডিক্যাল এরকম ভিন্ন পরিচিতি থাকবে না। বিশ্বের সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম বিবেচনা করা যেতে পারে।
শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। এই সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের প্রতিনিধি নিয়ে শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে।
লেখক : সাবেক সরকারি কর্মকর্তা


আরো সংবাদ



premium cement