এশিয়ান ন্যাটোর ধারণা
চোখের আলোয়- মুজতাহিদ ফারুকী
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ন্যাটো (NATO)- নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন। একটি সামরিক জোট-আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা খ্রিষ্টান দেশগুলো এর সদস্য (একমাত্র ব্যতিক্রম তুর্কিয়ে)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের কথিত হুমকি মোকাবেলায় ন্যাটোর জন্ম। কিন্তু এশিয়ান ন্যাটো! সেটা কী জিনিস? এমন কোনো জোটের নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি। বাস্তবে এই নামে কোনো সংস্থা বা রাষ্ট্র জোটের অস্তিত্ব বিশ্বে নেইও। তবে অস্তিত্বহীন ‘এশিয়ান ন্যাটো’ কিন্তু এখন আর অধরা, অলীক কোনো বিষয় নয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় আমেরিকার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে সামরিক জোট গঠনের এই ধারণা টেবিলে উঠে এসেছে। এটি আমেরিকার পরম মিত্র জাপানের সদ্য মসনদে বসা প্রধানমন্ত্রী শিগেরো ইশিবার মানস সন্তান বা ব্রেন চাইল্ড। অঞ্চলের হিসাবে এ জোটের নাম হতে পারে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা অ্যাপটো (NATO)।
যাই হোক, গত ১ অক্টোবর ২০২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরই ইশিবা তার মানস সন্তানকে পৃথিবীর আলোয় আনার জন্য কূটনৈতিক আঁতুড়ঘর প্রস্তুত করেন। নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি আইওয়াইয়াকে (Takeshi Iwaya) দিয়ে ধারণাটি পেশ করেন কিছু বন্ধু দেশের কাছে। বলে রাখি, ধারণাটি আঁতুড়ঘরেই অক্কা পেয়েছে।
কিন্তু এই মুহূর্তে নাকচ করা হলেই কি ধারণাটি মারিয়ানা ট্রেঞ্চে বিসর্জিত হবে? মনে হয় না। হয় না বলেই এ প্রসঙ্গের অবতারণা।
চলমান ভূ-রাজনীতির গতিপ্রকৃতি এবং প্রধান কুশীলবদের অভীষ্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহালদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার নেতৃত্বে কোয়াড অথবা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মতো উদ্যোগের কথা কারো অজানা নয়। প্রতিপক্ষও সুচিহ্নিত।
চার পক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ (Quadrilateral Security Dialogue বা সংক্ষেপে QSD), যেটি কোয়াড নামে পরিচিতি পায়, সাম্প্রতিক ঘটনা। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কৌশলগত নিরাপত্তামূলক আলোচনা ছিল এটি। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, কূটনৈতিক ও সামরিক এই আয়োজন চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক উত্থানের প্রতিক্রিয়া। চীন এটিকে ‘ন্যাটোর এশীয় সংস্করণ’ বলে অভিহিত করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছে প্রতিবাদ জানায়।
২০০৭ সালের এ উদ্যোগ মাঠে মারা গেছে প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার পিঠ টানে; পরে ভারতের নিষ্ক্রিয়তায়। কিন্তু চীনের কথিত সেই ‘এশিয়ান ন্যাটো’ শব্দজোট অনেকের স্মৃতিতে রয়ে গেছে। জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রীরও।
কোয়াডের পর এসেছে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি। বাংলাদেশে এটি নিয়ে অনেক পানি ঘোলা হয়েছে। মাছ শিকার কে করেছে এখনও স্পষ্ট না। এই কৌশলের লক্ষ্য কী? প্রধান লক্ষ্য, অবাধ ও মুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, এই অঞ্চল ও এর সাথে বাইরের বিশ্বের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা, সমৃদ্ধি অর্জন, নিরাপত্তা জোরদার এবং একবিংশ শতাব্দীতে আন্তর্দেশীয় হুমকি মোকাবেলায় এই অঞ্চলের দেশগুলোর স্থিতিস্থাপক অবস্থান গড়ে তোলা। লক্ষ্যগুলো কি খুব নিরীহ ও নির্বিষ মনে হচ্ছে? বিশ্লেষকরা তা মনে করেন না।
ভূ-রাজনীতি সব সময় পরিবর্তনশীল। এর সাথেই পাল্টে যায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিরাপত্তাজনিত উপলব্ধি ও চাহিদা। সে কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে জাপান ছিল আমেরিকার চরম শত্রু, আণবিক বোমার মতো মানবতাবিধ্বংসী অস্ত্রে লাখো মানুষকে হত্যা করে আমেরিকা যে জাপানকে পরাভূত ও দখল করে নেয়, আজকের দিনে সেই দেশটি কোন বাস্তবতায় পরম মিত্র হয়ে উঠল, বোঝা দরকার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পর্যুদস্ত জাপানকে উপনিবেশে পরিণত করে আমেরিকা। দেশটিকে নতুন সংবিধান তৈরি করতেই শুধু বাধ্য করেনি; বরং তাতে এমন অনুচ্ছেদ সংযোজনে বাধ্য করে (আর্টিকেল-৯) যাতে জাপান, আত্মরক্ষার জন্যও কারো বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে না। আক্রান্ত হলেও না। সামরিক বাহিনীই রাখতে পারবে না। কিন্তু এখন কী ঘটছে? সেই দখলদার আমেরিকাই জাপানকে সমরসজ্জার দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। কারণ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট পাল্টেছে। চীনের অপ্রতিরোধ্য উত্থানের মুখে আমেরিকার একক আধিপত্য খর্ব হওয়ার হুমকিতে।
চীনকে ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসাচ্ছে আমেরিকা। তাইওয়ান, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া খাস চৌকিদার। জাপান এই সুযোগ নিয়ে আবার সামরিক শক্তিসহ পরিপূর্ণ সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় ফিরে আসতে চায়। আর সেই সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করতেই সম্ভবত এশিয়ান ন্যাটোর চার ফেলেছে দেশটি।
কিছু দিন আগে শিগেরো ইশিবা তার পার্টি এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হন। ১ অক্টোবর ২০২৪ ডায়েটের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। আর গদিতে বসার প্রায় সাথে সাথেই এশিয়ান ন্যাটোর টোপ গেঁথে বড়শি ফেলেন প্রশান্তের পানিতে। সুতরাং তার সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরি।
৬৭ বছরের ইশিবা আইনের ছাত্র; ক্যারিয়ার শুরু করেন ব্যাংকার হিসেবে। ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। দুই দফায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং কৃষি, বন ও মৎস্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবাও প্রভাবশালী রাজনীতিক ছিলেন। ইশিবা একজন ‘গুঞ্জি ওটাকু’ ইংরেজিতে যাকে বলে military geek অর্থাৎ স্বশিক্ষিত সমরবিশারদ। সামরিক বিষয়ে তার গভীর আগ্রহ। তিনি সমরাস্ত্র ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত আইনি সমস্যা বিষয়ে দক্ষ। বিমান ও জাহাজের মডেল তৈরি করতে জানেন এবং চিত্রাঙ্কনের মতো শৌখিনতাও তার আছে।
এহেন একজন মানুষ জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েই হুট করে এশিয়ান ন্যাটোর মতো সামরিক জোটের প্রস্তাব দিয়ে বসবেন, ভাবার সুযোগ কম। স্পষ্টবাদী এই লোকটির নানা সময়ের মতামত ও মন্তব্য ইত্যাদি খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এ প্রস্তাব হুট করে আসেনি।
২০১৩ সালের উত্তর কোরিয়া সঙ্কটের সময়, ইশিবা বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আঘাত হানার সুনির্দিষ্ট অধিকার জাপানের থাকা দরকার। সঙ্কটটা কী ছিল? ওই বছর উত্তর কোরিয়া সফলভাবে আকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠায় যেটি প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নজরদারি করতে পারবে। এতে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষিপ্ত হয়। জাতিসঙ্ঘে উত্তর কোরিয়ার নিন্দা করে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অনুপ্রবেশের পর ইশিবা বলেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে রক্ষা করছে না, কারণ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। তিনি যুক্তি দেন, যুদ্ধ বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিবেশের রূপান্তর ঘটাচ্ছে এবং এশিয়ায় ন্যাটোর মতো যৌথ আত্মরক্ষা ব্যবস্থা না থাকা এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষার কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় এই অঞ্চলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ইশিবা দাবি করেন, ‘মার্কিন শক্তির আপাত পতন ঘটছে।’ চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় ন্যাটোর একটি এশিয়ান সংস্করণের প্রয়োজন। তার মতে, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মুহূর্তে আমাদের চারপাশের নিরাপত্তা পরিবেশে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
ইশিবা তার প্রস্তাবিত ‘এশিয়ান ন্যাটো’ জোটে জাপান-আমেরিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিলিপাইন, ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়াকে রাখার কথা বলেন। তার ব্যাখ্যা হলো- এই নীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য জাপানকে রক্ষা করা। এই জোট হবে তার পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে ঠেকানোর সেরা প্রতিরোধক।
ইশিবার মানস সন্তান অবশ্য হালে পানি পায়নি। আমেরিকার পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক প্রস্তাবটি পত্রপাঠ নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও বলেছেন, এটি ভারতের কৌশলগত লক্ষ্যের সাথে যায় না। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীনও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চীন আশা করে, জাপান ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করবে।’
ইশিবা সমঅংশীদার হিসেবে আমেরিকার সাথে জোট গঠনের কথা বলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক ব্যবহার করে জাপানের জন্য এমন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলেন যাতে দেশটি নিজেই নিজের নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন, জাপানের অনেক ছোট দ্বীপ রক্ষা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য তার দেশেরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোরের সমতুল্য বাহিনী থাকা দরকার।
২০১১ সালে, ইশিবা জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বজায় রাখার ধারণা সমর্থন করেন। কথাটি বলেন একটু ঘুরিয়ে। ‘আমি মনে করি না যে, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া দরকার, তবে আমাদের বাণিজ্যিক চুল্লিগুলো সক্রিয় রাখা জরুরি, কারণ এটি আমাদের অল্প সময়ের মধ্যে একটি পারমাণবিক ওয়্যারহেড তৈরির সক্ষমতা দেবে। ... এটি একটি চূড়ান্ত প্রতিরোধক।’ এ সব কথার নিহিত অর্থ হলো- আমেরিকার কব্জা থেকে নিজেকে বের করে আনা।
পরে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের পক্ষ থেকে অনেকে বলছেন, ইশিবার প্রস্তাব বহুল আলোচিত হলেও অদূর ভবিষ্যতে এমন কোনো জোট গঠনের লক্ষ্য জাপানের নেই। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তো সংবাদ সম্মেলন করে এমনো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ প্রস্তাব নিয়ে প্রচারণা চালাতে আদৌ কোনো নির্দেশনাই দেননি। মনে হয়, প্রস্তাব ভাসিয়ে দিয়ে শুরুতেই বেশ বড় ধাক্কা খেলেন জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রী।
তবে আমাদের ধারণা, আজ হোক বা কাল, ধারণাটি সামনে আসবে। কারণ চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে না। আমেরিকার সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ, প্রযুক্তির যুদ্ধ কোনোটিতেই তার ভূমিকা অন্যূন নয়। সুতরাং আপাতত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল চলবে। আর মাথায় থেকে যাবে এশিয়ান ন্যাটো। আমেরিকা একবার যেখানে যায়, সেখানে শেষ না দেখে ছাড়ে না। পরিণতি ভিয়েতনাম বা আফগানিস্তান যেমনই হোক। কিন্তু জাপানিরা অতীত মনে রাখে। মনে রাখতে হবে, জাপানিরা ঐতিহ্যগতভাবেই যোদ্ধা জাতি এবং অ্যাগ্রেসিভও। শেষ বিশ্বযুদ্ধের আগে তারা প্রায় সব প্রতিবেশী- কোরিয়া, চীন, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করেছে। একটিতেও হারেনি। এ জন্য দেশটির প্রতি সব প্রতিবেশী দেশের গভীর সন্দেহ-অবিশ্বাস এখনো রয়ে গেছে। যদিও ক্ষমা চেয়ে সবাইকে আর্থিক সহায়তা উদারভাবেই দিয়েছে জাপান।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয় নিছক যুদ্ধে হেরে যাওয়ার চেয়েও বেশি কিছু। এই প্রথম দেশটি কোনো বিদেশী শক্তির পদানত হয়। সিয়াম বা শ্যামদেশের মতো চিরস্বাধীন দেশের সম্মান খোয়ায় তারা। আমাদের বিশ্বাস, গত ৭৫ বছরের অপমান-অবদমনও তারা ভোলেনি, ভুলবেও না।
বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বিকাশমান দেশ। এর ভৌগোলিক গুরুত্বও ক্রমবর্ধমান। এই প্রেক্ষাপটেই চীন ও আমেরিকার আগ্রহের কেন্দ্রে আছি আমরা। জাপান আমাদের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদারও। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীপে (মাতারবাড়ি) উন্নয়নকাজও করছে তারা। দেশটির সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এই সবগুলো দিকই মাথায় রাখতে হবে।
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা