১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার : ছাত্রশিবির

- ছবি : নয়া দিগন্ত

সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতাদ্বয় এ কথা বলেন।

নেতাদ্বয় বলেন, ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর জাতিসঙ্ঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা UNESCO-র ১৪তম সাধারণ সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলো প্রতিবছর এই দিনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করে আসছে। ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

বিবৃতি নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছর পরিচালিত আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ৷ নানা বৈষম্য ও দারিদ্র্যের কারণে সর্বজনীন শিক্ষার যে লক্ষ্য, তা এখনো সুদূরপরাহত। ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রায়োগিক সাক্ষরতা নিরূপণ জরিপে দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সের ২৭.০৩ শতাংশ শিশু এখনো কোনো ধরনের প্রায়োগিক শিক্ষা পায়নি, যদিও দেশে ১৯৯৩ সাল থেকে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক৷

এই জরিপে দেখা যাচ্ছে, পড়তে, লিখতে, বুঝতে ও গণনা করতে পারেন, এমন প্রায়োগিক সাক্ষরতাসম্পন্ন মানুষের হার মাত্র ৬২.৯২ শতাংশ৷ দেশে সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন নয় এমন মানুষ ২৬.০৫ শতাংশ, আংশিক সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ ১১.০৩ শতাংশ, প্রাথমিক পর্যায়ের সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ ১৯.৩০ শতাংশ আর উন্নত পর্যায়ের সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ ৪৩.৬২ শতাংশ৷

নেতারা আরো বলেন, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (PEDP), সাক্ষরতা অভিযান, অবৈতনিক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা এবং কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার প্রসারে সরকার বিভিন্ন সময়ে নানামূখী কর্মসূচি ঘোষণা করলেও বাস্তব প্রয়োগে ঘাটতি থাকায় সাক্ষরতার হারে কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি সম্ভব হয়নি। দুর্নীতি ও সঠিক পরিচালনার অভাবে সাক্ষরতা বৃদ্ধির কার্যক্রম ফলপ্রসূভাবে বাস্তবায়নও হচ্ছে না। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আমাদের জন্য একটি অনুস্মারক যে, আমাদের এখনো অনেক দূর যেতে হবে।

নেতারা আহ্বান জানান, আমাদের একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে। দারিদ্র্য ও শিশুশ্রমের কারণে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার শতভাগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্য দূর করে গ্রাম ও শহরের শিক্ষার মানের সমতা নিশ্চিত করতে হবে। যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ, নৈতিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা-গবেষণার প্রসার এবং প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ২০ শতাংশ নিশ্চিত করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণাখাতের বাজেট আরো বাড়াতে হবে। শিক্ষা নিয়ে যেসব সামাজিক সংগঠন, ছাত্রসংগঠন ও মানবধিকার সংগঠন কাজ করে তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে।

নেতারা পরিশেষে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য শুধু সরকার নয়, বরং আমাদের প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাব এবং শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। আসুন আমরা সবাই মিলে অশিক্ষা ও নিরক্ষরতা দূরীকরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখি, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করি এবং শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬ জন নিহত : ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গৌরনদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ফিল্ড ট্যুর নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নোবিপ্রবির ফিমস বিভাগের ২ শিক্ষক অপরাধ-বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত কর্মকর্তাদের ধরা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের আরো ৩৭ কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার শেষ মুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে বাইডেন, ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে স্লোগান পারিশ্রমিক নিয়ে টালবাহানা, রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে : কাতার গলাচিপায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা ফ্যাসিবাদ ঠেকানোর দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে : দুদু

সকল