বাংলাদেশ সব দিক থেকেই ডুবে গেছে : আমীর খসরু
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১২ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩১
‘বাংলাদেশ সব দিক থেকেই ডুবে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে এক আলোচনা সভায় অবিরাম বৃষ্টিতে রাজধানীর জলাবদ্ধতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণতন্ত্র মঞ্চের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঞ্চের উদ্যোগে ‘৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
তিনি বলেন,‘দেশ আর্থিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে তো এমনি ডুবে গেছে। এখন আপনারা পানির ডুবা দেখতে পারছেন। প্রকৃত পক্ষে সবদিক থেকেই বাংলাদেশ ডুবে গেছে।’
ঢাকা শহরে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের প্রসঙ্গ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘ঢাকা শহর তো ডুবে যাবে। মেধাবী লোকজন তো আসতে পারছে না সামনের দিকে। যারা কাজ-কর্ম করেন এই প্ল্যানিং থেকে শুরু করে এটা বাস্তবায়ন পর্যন্ত, সেখানে তো কিছু মেধাবী লোককে উঠে আসতে হবে। সেটা তো হচ্ছে না। দলীয় লোকজন দিয়ে যদি চালানো হয় তাহলে ঢাকা শহর ডুববে এবং বাংলাদেশও ডুববে।’
খসরু বলেন, কোটা বিষয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, এটি বাংলাদেশের মেধাবীদের ধ্বংস করতে চায়। যেভাবে তারা (আওয়ামী লীগ) সরকার চালাচ্ছে, যেভাবে শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছে, এরকম চল তে থাকলে আগামী দিনে মেধাবী বাংলাদেশের কোনো সুযোগ নেই, বাংলাদেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। আজকের এই রেজিম ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে একটা মেধাবী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় এটা আমার মনে হচ্ছে না।’
‘আজকের এই রেজিম ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে একটা মেধাবী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় এটা আমার মনে হচ্ছে না। মেধাবী রাষ্ট্র হয়ত এরকম একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে খুব একটা সুযোগ নাও হতে পারে। কারণ মেধাবীরা সত্য কথা বলে, মেধাবীরা সত্য পথে চলে, মেধাবীরা প্রতিবাদ করে, মেধাবীরা প্রতিরোধ করে। আমি কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের প্রতি একটু অনুরোধ করব, তারা যেভাবে কোটার জন্য লড়াই করছে তাদেরকে তাদের ভোটের জন্য এভাবে লড়াই করতে হবে, তাদেরকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্যে এভাবে লড়াই করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন,‘ আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছি ৩১ দফা, এই ৩১ দফা একটা চৎমকার কর্মসূচি। কিন্তু কি কি কনস্টিটিউশনার পরিবর্তন আনলে মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার পাবে সেই কথা কি মানুষ ভালো করে বুঝে? সাধারণ মানুষ বরং সিএমএম কোর্টে গেলে বুঝা যায় কত বড় অনাচার চলছে। কারণ তার উচিৎ জামিন, সেই জামিন দেয় না। কারণ ঘুষ না দিলে কোনো কাজ হয় না। তারা মনে করে এটার কি রকম করে পরিবর্তন করা যায়।’
‘আমাদের এজন্য আরো কথা আসছে, যেরকম করে যুক্তফ্রন্ট হয়েছে, যেরকম করে কংগ্রেস কর্মসূচি দিয়েছে, যেরকম করে কেজরিওয়াল দিয়েছে, সেই রকম করে আমাদেও কর্মসূচি দিতে হবে। এমনো হতে পারে এই যে কোটার দাবি সেটাও আমাদের দাবিনামার মধ্যে আসতে পারে, যাতে ছাত্রদেরও আমরা অন্তর্ভুক্ত করতে পারি এবং বড় আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে পারি। আমাদের সবাইকে মিলে লড়াইটা করতে হবে। সেই লড়াইটা হচ্ছে এই সরকারের পতন। যেরকম করে ছাত্ররা গতকাল ব্যারিকেডে ভেঙেছে, সেরকম করে লড়াইয়ের চিন্তা করি।’
এই আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি মিয়া মসিউজ্জামান, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বক্তব্য রাখেন।