১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এই সরকারের কাছ থেকে আলেম-ওলামারাও রেহাই পাচ্ছেন না : টুকু

বক্তব্য রাখছেন সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘যারাই দেশের পক্ষে কথা বলেছে তাদেরকেই সরকারের তীব্র রোষানলে পড়তে হয়েছে। এমনকি আলেম-ওলামারাও রেহাই পাচ্ছেন না। তাদের স্থান হচ্ছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।’

তিনি বলেন, ‘এই মাফিয়া সরকারের কাছ থেকে কেউ রেহাই পায়নি। বিরোধী রাজনীতিবীদদের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত মামলা-হামলায় কাহিল করার চেষ্টা করেছে। সমাজের সুশীল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিকদেরও নির্যাতন করা হচ্ছে।’

এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সাথে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশকে সেক্যুলিজম থেকে রক্ষা করতে সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে দল গঠন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন এ দেশের সিংহভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বাদ দিয়ে, তাদের আবেগ অনুভূতিকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সরকার সেই নীতি থেকে সরে গিয়ে পাশের একটি দেশের ফর্মূলায় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ওপরই প্রথম আঘাত হানে। তারা শাপলা চত্বরে অসংখ্য হেফাজত কর্মীকে আহত-নিহত করেছে। তাদের হাতে আলেম-ওলামার রক্ত।’

টুকু বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে দরকার ঐক্য। সমাজের প্রত্যেক স্তরে সেই ঐক্য সৃষ্টি করতে আলেমদের ভূমিকা পালন করতে হবে সর্বাগ্রে। তাদের একটি বক্তব্য সাধারণ মানুষ খুব সম্মানের সাথে নেয়। আর সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে। জনগণকে দেশের জন্য, জনগণের জন্য, দেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আরো বক্তব্য রাখেন ওলামা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এরপর সালাহউদ্দিন টুকু ছাত্রদলের সাবেক নেতা (কারাবন্দী) ইখতিয়ার কবিরের অসুস্থ ছেলেকে দেখতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে যান।


আরো সংবাদ



premium cement