ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে যেকোনো ত্যাগ কোরবানি প্রদর্শনের আগ্রহ ইচ্ছা থাকতে হবে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ জুন ২০২৪, ১৯:৪০
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সকল নবী-রাসূলরাই দ্বীন কায়েমের এ মহান কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কেউ দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন, কেউ হননি। কিন্তু সকলেই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় আপোসহীন ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ কোরবানি প্রদর্শনের আগ্রহ ইচ্ছা থাকা জরুরি। এ-ধারা চলমান এমন কি সাহাবীদের মাঝেও এমন কোনো সাহাবী খুঁজে পাওয়া যায় না যিনি ইকামাতে দ্বীনের কাজ হতে বিরত ছিলেন। সাহাবীরা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে সকলেই ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল এদেশে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণ করা। ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ের জন্য আমরা সে লক্ষ্যেই যাবতীয় প্রচেষ্টা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।’
মঙ্গলবার ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় সাধারণ জনতার সাথে সৌজন্যতা বিনিময়কালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২২৩তম শহীদ আনিসুর রহমানের বাড়িতে যান এবং শহীদের পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। শহীদ ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মু. কামারুজ্জামান-এর ফাসিঁর রায়ের পরের দিন হরতাল চলাকালে পুলিশের নির্যাতনে শাহাদাতবরন করেন। তিনি মাওলানা ভাসানি কলেজের মেধাবী ছাত্র ও সংগঠনের সাথী মো: আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জে জেলার উল্লাপাড়া সদর উপজেলার পারকুল গয়হাজায় জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মো. শাহ আলমের ইন্তেকালের খবর শুনে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাতে ছুটে যান।
মরহুম শাহ আলম মাস্টার গত ১০ জুন সোমবার সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তীতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, তার বাবা হাবিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
জননেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন, আল্লাহ যেন তার নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ত্যাগ ও কোরবানির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী সমাজ কায়েমের পথে এগিয়ে যেতে হবে। হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর ডাকে ইসলামকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সাহাবারা বদরের প্রান্তরে একত্রিত হয়ে বাতিলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেলি। একইভাবে বাংলাদেশে ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনে যদি আমরা সে বিশ্বাস লালন করে সামনে অগ্রসর হতে পারি তাহলে মহান আল্লাহ আমাদেরেও বিজয় দান করবেন ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের কুরআনিক পরিভাষা হচ্ছে 'জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ'। এ কাজে অংশগ্রহণ প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের অপরিহার্য দাবি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মহান কাজ শুধুমাত্র আমাদের ওপর ফরজই নয় ইহা ফরজে আইন তথা অবশ্যই পালনীয় বিষয়।
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল (সা) ওহি পাওয়ার পর তার বিশ্রামের সুযোগ হয়নি, অতএব আমাদেরও বসে থাকার সময় নেই। যেহেতু ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য দাবি, তাই আসুন সবাই মিলে ইসলামী আন্দোলনের কাজে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করি।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি