১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম

শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন, রেডিও, শিশুমেলা ও শ্যামলী এলাকায় রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমজীবি মানুষদের মাঝে সাদা ক্যাপ, সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখা সভাপতি এমএ জামান ভূঁইয়া ও শাখা সেক্রেটারি এইচএমএস মাহমুদের নেতৃত্বে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ সময় মহানগর, শেরেবাংলা নগর থানা ও তেজগাঁও কলেজ থানার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিতরণ শেষে এমএ জামান ভূঁইয়া বলেন, তীব্র তাপদাহ চলছে সারা দেশজুড়ে। ক্রমশ বেড়ে চলছে গরমের তীব্রতা। অঞ্চলভেদে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে গরমের তীব্রতা। গরমের তীব্রতায় শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলমান এ তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। জীবিকার তাগিদে প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও তারা রাস্তায় বের হচ্ছে তাদের। বিশেষত ঢাকার রিকশাচালকরা পড়েছেন মহাবিপদে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে যাত্রী ধরতে খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। তপ্ত রোদেও থামাতে পারেনি নিম্নআয়ের এসব মানুষের রিকশার প্যাডেল। রাজধানীর ৪০ শতাংশ মানুষ তাদের নিয়মিত যাতায়াতের জন্য রিকশার ওপর নির্ভরশীল। অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তারা। আজ সেই রিকশাচালকদের মুখে সামান্য হাসি ফোটানোর জন্য আমরা এখানে এসেছি। ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যেগে আজ আমরা রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমজীবি মানুষদের মাঝে সাদা ক্যাপ ও সুপেয় পানি বিতরণ করেছি। সামান্য উপহারে তাদের মুখের হাসি আমাদের বিমোহিত করেছে।

শাখা সভাপতি আরো বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশ-জাতির সঙ্কট ও দুর্যোগ মুহূর্তে ত্রাণ বিতরণ, উদ্ধারকাজ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ, পরিষ্কার-পরিছন্নতা অভিযান, বাঁধ নির্মাণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, সবার জন্য শিক্ষা, নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ, পথশিশুদের আশ্রয়দান, রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিংসহ নানাবিধ সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে শিবির সাধারণ ছাত্রজনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। নির্ভয়ে যদি ছাত্রশিবির কাজ করতে পারে তবে প্রতিটি মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ছাত্রশিবিরকে প্রথম কাতারেই পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।


আরো সংবাদ



premium cement