দেশকে ধ্বংস করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে সরকার : রাজিবুর রহমান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৬
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। দেশে শুধু নজিরবিহীন অপশাসনই চলছে না বরং আগামীর বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেয়ার সকল আয়োজন প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর শহীদ ওয়াহিদুল ইসলাম মিলনায়তনে দুপুর ৩টায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকারী পরিষদের সদস্য ও শাখা সভাপতি এমএ জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি এইচএমএস মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মহানগর ও থানার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম বলিদানকারী জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ২৬ মার্চ জাতির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটি জাতির ত্যাগ ও অর্জনের স্মারক। মহান স্বাধীনতার লক্ষ্য হচ্ছে, এ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, ইনসাফ, গণতন্ত্র, সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আজকে এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। জাতির সত্তার সাথে মিশে থাকা ইসলামী ভাবধারা, সামাজিক রীতিনীতি, সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য, গৌরবগাথা ও নিজস্ব সত্তাকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এখন তারা ইফতার মাহফিলে হামলা চালিয়ে রোজাদার শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সর্বমহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরো বেড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য বিভেদ নয় ঐক্য। বিজয়ের মূল টার্গেট হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আজকে প্রতিটি মানুষের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করত তাহলে দেশ এতদিনে বহুদূর এগিয়ে যেত। কিন্তু এদেশে ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। কারো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নেই। ধর্মীয়, আর্থিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। ক্ষমতায় থাকা ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্রদের অধিকার ভোগ করতে দিচ্ছে না। এগুলো কোনোভাবেই রক্তে অর্জিত একটি স্বাধীন দেশের সভ্য চিত্র হতে পারে না।
তিনি বলেন, অবশ্যই এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে এবং তা করবে তরুণ প্রজন্মই। প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ছাত্রশিবির প্রতি বছর এ দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে। যদি কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই তাহলে মানুষের গুণগত পরিবর্তন, যোগ্যতার বিকাশ ও ইসলামের ধাচে মানুষ তৈরি না হলে সৎ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। বিভেদ নয় বরং ঐক্যের ভিত্তিতে ছাত্রশিবির সোনালী বাংলাদেশ উপহার দিতে চায়। আমরা যেন সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি সে জন্য ছাত্রসমাজ, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি। তাদের দোয়া ও ভালবাসা নিয়েই ছাত্রশিবির এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি