২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে বাঙালির জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে : নানক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:৫২
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে শুধু আমাদের দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে সমস্ত বাঙালীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। বাইরে অবস্থানরত বাঙালীদেরও এই ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলাম এখনো বেঁচে আছি, ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করলে আত্মতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতির ইতিহাসে ‘কালরাত্রি’ হিসেবে চিহ্নিত। ওই রাতে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এর নামে শুরু করেছিল বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। একই সাথে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে তারা গ্রেফতার করে বাঙালির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ -এর ২৫ মার্চ শুরু হওয়া অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পরবর্তী ৯ মাস পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশব্যাপী গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, ধর্ষণের মতো অবর্ণনীয় নারকীয় নৃশংসতা চালায়। এত অল্প সময়ের অপারেশনে শহীদ হয়েছিল ৩০ লাখ অসহায় মানুষ, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী। ধর্ষিত হয়েছিলেন কয়েক লাখ নারী। দেশত্যাগী হয়েছিল প্রায় এক কোটি নিরিহ মানুষ। মাত্র ৯ মাসে ৩০ লাখ আদম সন্তানের অসহায় মৃত্যু, এতবড় গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপর থেকেই বাংলাদেশের গণহত্যার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির দাবি জোরালো হয়।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিচারপতি (অব:) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্প্রীতি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক আব্রাহাম লিংকন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, মেজর (অব:) হাফিজুর রহমান প্রমুখ।