শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে : আমু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৫
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসড়কে।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা এক যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখায় দেশবাসীকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় আমির হোসেন আমু বলেন, বর্তমানে সারা দেশে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতার বাড়ি ও পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। এর ফলে পাল্টে যাবে দেশের অগ্রগতির দৃশ্যপট।
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আমির হোসেন আমি বলেন, করোনার মধ্যেও প্রতিটি ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। করোনা মোকাবেলায় যখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পর্যুদস্তু, তখন প্রাথমিকভাবে সীমিত স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতায় গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ষাটের দশক থেকে দেশের মানুষ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথা শুনে এলেও বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যুগে প্রবেশ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ২০১০ সালে। পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে।
আমির হোসেন আমু বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষকে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় আনতে তাঁর গৃহীত সকল কর্মসূচি আজ দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃত। দেশকে দারিদ্র সীমার নিচে নামিয়ে আনা এবং নারীর ক্ষমতায়নে ও বিশ্বে রেকর্ড গড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ব মানবতার জননী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পন্ন করে চলেছেন, তেমনি ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্রসীমানা বিরোধেরও নিষ্পত্তি করেছেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সকল বাধা অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিতে জনগণের ভালোবাসাই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় শক্তি। সফলতার সাথে টানা এক যুগ দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন আওয়ামীলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকে। আগামী দিনের পথ চলায় তাই জনগণকে সরকারের পাশে থাকার আহবান জানান আমু।
শুভেচ্ছা বার্তায় আমির হোসেন আমু ১৪ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।