ধর্ষণের মহোৎসব চালাচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ : ইরান
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫০
নারীর ইজ্জত ও নিরাপত্তা দিতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চালাচ্ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ৭২ সালের ন্যায় যুবতী মেয়ে নিয়ে জঙ্গলে রাত কাটাতে হবে। বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের কারণে দেশে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের চেয়েও আওয়ামী জাহিলিয়াত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আযোজিত ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও রাজপথের বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী হওয়ার পরও দেশে নারী-শিশুরা গণধর্ষণ ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ ও বিক্ষোভে পুলিশী হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ডাঃ ইরান বলেন, সরকার আইনশৃংখলা বাহিনীকে বিরোধী শক্তি নির্মূলে ব্যবহার করায় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা আইনের তোয়াক্কা না করে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। রক্ষক আজ ভক্ষকে পরিণত হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণকারীকের গ্রেফতার না করে ধর্ষণের প্রতিবাদকারীকে হেনেস্তা করছে। এটা একটা সভ্য সমাজে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা দেশব্যাপী মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তারা হিংস্র জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট লোমর্হষক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারী ও শিশুর সম্ভ্রম লুটেপুটে খাচ্ছে। বিচারহীনতা, গণতন্ত্র ও সুশাসনকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এর করার ‘সুফল’ জনগণ পেতে শুরু করেছে। এমসি কলেজ ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণসহ প্রায় সকল ধর্ষণে ছাত্রলীগ-যুবলীগ জড়িত। আওয়ামী নেতাকর্মীরা ক্ষুধার্ত জানোয়ারের মতো মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করছে। কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না তেমনি ৫০ বছরেও আওয়ামী লীগের চরিত্র বদলায়নি। তাই দেশপ্রেমিক ছাত্র ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলনের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, মহিলা সম্পাদক নাছিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা লিটন খান রাজু, খোরশেদ আলম, ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, যুবমিশন সদস্য সচিব সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন যুগ্ম-সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, রাহেল হোসেন আনোয়ার, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
ফটোজার্নালিষ্ট থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি দৈনিক বাংলা, ক্রীড়া পরিষদ, বায়তুল মোকারম, পল্টনমোড় হয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনে পথসভা করে শেষ হয়।