১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সরকারের শক্তির ওপরে মাস্তানি করার শক্তি কারুর নেই : প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

-

সরকারের শক্তির ওপরে মাস্তানি করার শক্তি কারুর নেই উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি মন্ত্রণালয়সহ অধিদফতর-সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বচ্ছতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়েছেন। কারো অবৈধ-অনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার না করতে নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান, সরকারি কাজে দুর্নীতিমুক্ত হয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে গিয়ে কেউ বিপদ্গ্রস্ত হলে আমিই তাদের প্রটেকশন দেবো।

বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, টেন্ডার ও ঠিকাদারীসহ দেশের দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী দল থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, যা সরকারি পর্যায়েও শুরু করা হবে। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সাথে করলে কর্মচারীদের ভয়ের কিছু নেই বলে তিনি অভয় দেন।

মন্ত্রণালয়ভুক্ত বিভিন্ন অফিস-স্থাপনাসমূহকে দৃষ্টিনন্দন ও রুচিশীল পরিবেশের আওতায় আনার আহবান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরাজীর্ণ ও নোংরা পরিবেশের অফিসে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরাও হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন, যা কাম্য নয়।

তিনি আজ বুধবার প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যখাতের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পৃথক পৃথক এডিপি সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।

গরুর গোশতের চেয়ে মহিষের গোশত চর্বি ও কোলেস্টেরলমুক্ত- এ কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মহিষের উৎপাদন ও খামার বৃদ্ধির প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি ভোলা, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীতে মহিষের খামার স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রণয়নের কাজ ত্বরান্বিত করতে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ উপখাতে ১৯টি এবং মৎস্য উপখাতে ১৭টি মিলে মোট ৩৬টি প্রকল্পে ১৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এরমধ্যে আগস্ট পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ৩৬টি প্রকল্পেও প্রায় ৮০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে শুধু প্রাণিসম্পদ উপখাতের ১৯টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৯৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত পৌণে ২৩ কোটি এবং মৎস্য উপখাতে ১৭টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৬২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার মধ্যে সোয়া ২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল